লোকসভা নির্বাচনে আগে বড়সড় ভাঙ্গন বিজেপিতে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস যোগদান করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি সিদ্দিক আলী মিয়া। আজ কোচবিহার 2 নম্বর ব্লকের ঘোকসার ডাঙ্গায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের হাত থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন বিজেপির কোচবিহার জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি সিদ্দিক আলী মিয়া। রাজ্য যখন প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত সেই সময় সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই তৃণমূল বিজেপি উভয় দলেই লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘর গুছাতে শুরু করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একদিকে যেমন তৃণমূল কংগ্রেসের পুরনো কর্মীদের দলে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে অন্যদিকে বিজেপির এই ভাঙ্গন তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য অতিরিক্ত পাওনা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, তাসের ঘরের মতো বিজেপি ভেঙে পড়বে। এবং সেই তাসের ঘর ভাঙতে শুরু করেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই এই জয়নিং এর কাজ চলছে। আজ বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি নিজেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলেন।
এর থেকে বোঝা যাচ্ছে তাসের ঘর কিভাবে ভাঙতে শুরু করেছে। যারা সাধারন মানুষের জন্য কাজ করতে চায় তারা কখনোই বিজেপিতে থাকতে পারবে না। বিজেপি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে না। তারা শুধুমাত্র হিন্দু মুসলিম করে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করার পর সিদ্দিক আলী মিয়া বলেন, বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার বর্তমান জেলা সভাপতি ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস বামফ্রন্ট শাসন করেছে বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস শাসন করছে। কখনোই হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ করা হয়নি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকার হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ করে। তাই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছেন।