ফের বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচার রুখে দিল বনকর্মীরা। প্যাঙ্গলিনের আঁস সহ চামড়া উদ্ধার করলো বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের আমবাড়ি রেঞ্জের বনকর্মীরা। পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার এক পাচারকারী। ধৃত পাচারকারীকে আজ জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তুলবে বনদপ্তর।বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোপন সুত্রে খবর ছিল বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারকারীর কাছে প্যাঙ্গোলিনের আঁস আছে।এবং সে এই দেহাংশ পাচারের চেষ্টা করছে।বেস কিছুদিন ধরেই প্যাঙ্গলিনের আঁস মজুত রাখা ছিল।সেই খবরের ভিত্তিতে আমবাড়ি ফালাকাটা রেঞ্জ অফিসের রেঞ্জার আলমগীর হক তার টিম নিয়ে ক্রেতা সেজে ডুয়ার্সের ওদলাবাড়িতে ঘাটি গেরে বসে ছিলেন।
বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ওত পেতে বসে, সাফল্য আসে রাতে। তিন ব্যক্তি বাইক নিয়ে এসে ব্যাগ থেকে প্যাঙ্গলিনের আঁস বের করতেই হাতে নাতে ধরে ফেলে বনদপ্তরের কর্মীরা। বাকি দুজন পাচারকারী পালিয়ে যায়।তার পর সেই বন্য পাচারকারীকে রেঞ্জ অফিসে নিয়ে এসে জিজ্ঞেসাবাদ করার পর জানা যায় বন্য প্রানীর দেহাংশ পাচারের সাথে যুক্ত দীর্ঘদিন থেকে।এই পাচারকারীর সাথে আরো কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।পাশাপাশি বাকি দুই পালিয়ে যাওয়া পাচারকারীর উদ্যেশ্যে তল্লাশি চলছে। এই বিষয়ে বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের আমবাড়ি ফালাকাটা রেঞ্জ অফিসার আলমগীর হক জানান, আমাদের কাছে বেশ কিছু দিন ধরে খবর আসছিল ডুয়ার্সের এক বাসিন্দা বন্যপ্রাণী দেহাংশ পাচারের সাথে যুক্ত রয়েছে। গতকাল রাতে ক্রেতা সেজে তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলা হয়েছে।
পাচারের কাছে ব্যবহৃত একটি মোটর বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।বাইকে করে এসেছিল সেই পাচারকারীরা। আগেই প্যাঙ্গলিনের আঁস দু লক্ষ টাকায় বিক্রি করার ছক ছিল এই পাচারকারীদের। আঁস ভর্তি ব্যাগ নিয়ে আসার পরেই ধরে ফেলা হয়। তদন্তের স্বার্থে ধৃতের নাম গোপন করা হয়েছে।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছি। এর সাথে আরও লোক যুক্ত আছে বলে আমাদের আশঙ্কা ।ধৃতকে আজ জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে।