২০২৪ সালের জন্য এনআইএফ ট্রানস্লেশন ফেলোশিপের দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরুর ঘোষণা করেছে নিউ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন (এনআইএফ)।২০ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদন করা যাবে এবং জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর।ভারতীয় ভাষার গুরুত্বপূর্ণ নন-ফিকশন রচনাগুলি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদকে উত্সাহিত করার লক্ষ্যে এনআইএফ ট্রানস্লেশন ফেলোশিপ দেশের বিভিন্ন ভাষা ও সাহিত্যজ্ঞানের ঐতিহ্যের মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস প্রদর্শন করবে। ফেলোশিপের প্রথম রাউন্ডের (বাংলা, কন্নড় ও মারাঠি) অনুবাদগুলি ২০২৫ সালের মধ্যে প্রকাশের কথা রয়েছে। এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষায় অনুবাদ ফ্ল্যাগশিপ ‘বুক ফেলোশিপ’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিউ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যে প্রকাশিত ৩২টি বইয়ের পরিপূরক হবে।
ট্রানস্লেশন ফেলোশিপের মাধ্যমে এনআইএফ-এর উদ্দেশ্য হল স্বাধীন ভারতের সমস্ত দিক নিয়ে গবেষণা ও লেখার পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য এনআইএফ-এর লক্ষ্যকে প্রসারিত করা। অসমিয়া, বাংলা, গুজরাটি, হিন্দি, কন্নড়, মারাঠি, মালায়ালাম, ওড়িয়া, তামিল ও উর্দু- এই দশটি ভারতীয় ভাষার অনুবাদকদের কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে। পাঠ্যবিষয় নির্বাচন, অনুবাদের মান ও সামগ্রিক প্রকল্প প্রস্তাবের ভিত্তিতে ফেলোশিপ প্রদান করা হবে। ১০টি ভাষার যে কোনও একটি থেকে নন-ফিকশন পাঠ্যবিষয় বিনা বাধায় বেছে নেওয়া যেতে পারে, তবে তা যেন ১৮৫০ সাল থেকে ভারতীয় ইতিহাসের যে কোনও আর্থ-সামাজিক/ সাংস্কৃতিক দিককে ব্যাখ্যা করে। ট্রানস্লেশন ফেলোশিপের জন্য এনআইএফ ১৯৪৭-পরবর্তী সময়কালের ভারতকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে, যাতে বিস্তৃতভাবে আধুনিক ভারতের রূপরেখা স্পষ্ট হতে পারে।
এনআইএফ ট্রানস্লেশন ফেলোশিপ ৬ মাসের জন্য দেওয়া হবে এবং প্রত্যেক প্রাপককে ৬ লক্ষ টাকা করে স্টাইপেন্ড প্রদান করা হবে। ফেলোশিপ প্রদান করা হবে সেইসব অনুবাদক/ লেখকদের যারা ঐতিহাসিক ভারতীয় ভাষার পাঠ্যগুলি একটি ইংরেজি প্রকাশনায় আনার জন্য কর্মরত রয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষভাগে ফেলোশিপ প্রাপকগণ তাদের অনুবাদিত কাজগুলি প্রকাশ করবেন। এগুলিকে তাদের ‘উইনিং প্রপোজাল’-এর সম্প্রসারিত অংশ বলে বিবেচনা করা হবে।