চীনের কাছে লজ্জার হারের ধাক্কা কাটিয়ে এশিয়ান গেমসে ঘুরে দাঁড়াল ভারত। বৃহস্পতিবার গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশকে হারাল ইগর স্টিমাচের দল। ৮৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদে দলকে মূল্যবান তিন পয়েন্ট এনে দেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। জিতলেও ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স মন ভরাতে ব্যর্থ। এদিনও সন্দেশ-অমরজিৎদের খেলায় বোঝাপড়ার অভাব ছিল সুস্পষ্ট। এর দায় এড়াতে পারেন না ফেডারেশন কর্তারা। এশিয়ান গেমসের প্রথম ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগে দল ঘোষণা করে এআইএফএফ! এমনকী, প্রতিটি ফুটবলারের ভিসাও জোগাড় করতে ব্যর্থ তারা। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই জয় অবশ্যই গেমসের বাকি খেলাগুলিতে আত্মবিশ্বাস জোগাবে ভারতীয় দলকে। রবিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে মায়ানমারের মুখোমুখি হবে স্টিমাচ-ব্রিগেড। পরের রাউন্ডে পৌঁছনোর জন্য এই ম্যাচেও জিততে হবে ভারতকে।
গত ম্যাচের প্রথম একাদশে এদিন চারটি পরিবর্তন আনেন ভারতের কোচ। বুধবার দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া চিঙ্গলেনসানাকে দলে রাখেন তিনি। এছাড়া আপফ্রন্ট মজবুত করতে রোহিত দানু ও আব্দুল রাবিকে শুরু থেকে ব্যবহার করা হয়। বৃহস্পতিবার তিনকাঠির নীচে ভরসা জোগালেন ধীরজ সিং। পক্ষান্তরে, ভারতের বিরুদ্ধে রক্ষণ সামলে প্রতি-আক্রমণাত্মক নির্ভর ফুটবল খেলার চেষ্টায় ছিল বাংলাদেশ। ফলে প্রথমার্ধে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেননি সুনীলরা। সংযোজিত সময়ে অবশ্য গোল পেতেই পারতেন তাঁরা। এই পর্বে তিনবার দলের পতন আটকান বাংলাদেশের দুর্গপ্রহরী মিতুল মার্মা। দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠেন তিনি।
আপফ্রন্টে কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা না মেলায় বেশ কয়েকবার বলের জন্য মাঝমাঠে নেমে আসতে দেখা যায় সুনীলকে। গোলের জন্য মরিয়া কোচ স্টিমাচও পরপর বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন। এর মধ্যে গুরকিরৎ সিংয়ের অন্তর্ভুক্তি ভারতকে লড়াইয়ে ফেরায়। শেষ ১৫ মিনিটে লেফট উইং থেকে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনেন তিনি। ৮২ মিনিটে বক্সের মধ্যে মিরান্ডাকে ফাউল করেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক রহমত। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে সময় নেননি রেফারি। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাংলাদেশের ফুটবলাররা আপত্তি জানালেও তা ধোপে টেকেনি। স্পটকিক থেকে ঠান্ডা মাথায় জাল কাঁপান সুনীল।