বেশ কয়েকমাস ধরে ময়নাগুড়ি রোডে কার্যত মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক। বৃষ্টির জল জমে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত। কার্যত জীবন হাতে নিয়ে চলতে হচ্ছে যানবাহন থেকে বাসিন্দাদের। বেহাল এই জাতীয় সড়ক নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ প্রত্যেকেই। অভিযোগ, বারবার বলার পরও রাস্তা সংস্কার হচ্ছিল না। কিন্তু বাসিন্দাদের ক্ষোভের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকায় অবশেষে ওই বেহাল জাতীয় সড়ক সংস্কারে হাত দিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বেহাল রাস্তা সংস্কারে বালি, পাথর ও বিটুমিন ফেলা হয়েছে। যদিও বৃষ্টির মধ্যে রাস্তা সংস্কার শুরু হওয়ায় আদৌ তা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট রুটের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সঞ্জীব শর্মা বলেন, ময়নাগুড়ি রোড এলাকায় জাতীয় সড়ক সংস্কার শুরু হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। প্রথমে যে সমস্ত জায়গায় বড় গর্ত রয়েছে, সেখানে আগে ভরাট করা হচ্ছে। এরপর বিটুমিনের কাজ হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, জীবন হাতে নিয়ে ময়নাগুড়ি রোডের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যেখানে সেখানে খানাখন্দ হয়ে আছে। বৃষ্টিতে ওইসব গর্তে জল ভরে থাকায় কার্যত ডোবার চেহারা নিয়েছে। দুই-এক ট্রাক মাটি কিংবা পাথর ফেললেই ওই রাস্তা সংস্কার হবে না। আমরা চাই, জাতীয় সড়কের বেহাল অংশটি ভালোভাবে সংস্কার করা হোক।
ময়নাগুড়ি হাইওয়ে ট্রাফিক ওসি হোমেশ্বর পাল বলেন, রোড এলাকায় প্রায় এক কিমি রাস্তা অনেকদিন ধরেই ভাঙাচোরা। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সংস্কার কাজ শুরু করেছে। রাস্তার কাজ চলাকালীন যাতে যানজট না হয়, পর্যাপ্ত সংখ্যায় ট্রাফিক পুলিস রাখা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টাই পুলিসের ভ্যান টহল দিচ্ছে। কোনও গাড়ি বিকল হলে যাতে সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা থেকে তুলে আনা যায়, আমরা ক্রেনের ব্যবস্থাও রেখেছি। শিলিগুড়ি থেকে অসমগামী এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। এছাড়াও স্থানীয়রা টোটো, বাইক, স্কুটার নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু রাস্তাটির যা অবস্থা, তাতে ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে গেলে যেকোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তাছাড়া বেহাল রাস্তার কারণে বাস, গাড়িতে এতটাই ঝাঁকুনি হচ্ছে যে, যাত্রীরা অসুস্থ বোধ করছেন।