পশ্চিম বর্ধমানে ধস নেমে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আলডি যাওয়ার রাস্তায় কিছু দিন আগেও ধস নেমেছিল।দুই দিন আগেও ঢালাই করা পাকা রাস্তায় চিড় পড়েছিল।সেই চিড় চওড়া হয়ে ফাটলে পরিণত হয়েছে। ফাটল চওড়া হওয়াতে তার উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। রাস্তাজুড়ে আড়াআড়ি ফাটলের চারপাশ মাটি থেকে কিছুটা নীচে নেমে যাওয়াতে মনে হচ্ছে ভারী কিছুর চাপ পড়লে যে কোনও মুহূর্তে পুরোটাই ধসে পড়তে পারে।
আসানসোল কুলটি সাধারণত কয়লা খাদান এবং ধস প্রবণ অঞ্চল। মাটির নীচ থেকে কয়লা তোলার পর যে ফাঁপা জায়গা তৈরি হয় তা নিয়ম মেনে বালি দিয়ে ভর্তি করা হয় না অনেক সময়ই যার ভুক্তভোগী হন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারাই জানিয়েছেন বছর সাত-আটেক আগেই এমন ঘটনা ঘটেছিল। বাড়ির উঠোনে খেলা করছিল কয়েকটি শিশু। আচমকাই সেখানকার মাটি ধসে নেমে যায় নীচে। ধসের সঙ্গে ভিতরে পড়ে যায় একটি শিশুও। মাটির গভীরের তাপে পুড়ে মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয় পরিবেশবিদের কথায়, ‘‘এমন ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। তার কারণ মাটির নীচে থাকা কয়লার সাথে থাকে মিথেন গ্যাসও। তা অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরতে পারে। কোলিয়ারি এলাকায় দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে কয়লা খাদানের পর ফাঁপা জায়গা তৈরি না হয়, তার জন্য কয়লাখাদানের পর নিয়ম মেনে বালি দিয়ে ভরাট করা দরকার। কিন্তু সমস্যা হল অনেকেই বেআইনি ভাবে কয়লা খাদান করেন এবং নিয়ম কানুনের ধার ধারেন না। তার থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।’’ফাটলের কথা জানার পরেই ইসিএলের তরফে ধস কবলিত এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। এমনকি আলডি গ্রাম যাওয়ার রাস্তাটিও ঘিরে ফেলা হয়েছে কিন্তু তার পরও জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সেই বিপজ্জনক রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ আলডি গ্রামে যাওয়ার এটাই একমাত্র মূল পাকা রাস্তা।