পেশায় তিনি একজন বাউল। প্রায় তিন দশক ধরে এই একই পেশায় রয়েছেন তিনি।নাম নারায়ণ বাউল। সেই ছোটো বেলা থেকেই আপন খেয়ালে মেতে থাকেন নিজের সৃষ্টি নিয়ে।তবে বর্তমান সময় যেন বড়ই যন্ত্রণা দেয় এই মন ভোলা মানুষটির অন্তর্নিহিত স্বাধীন সত্তাকে।হয়তো সেই যন্ত্রনার কান্না বেরিয়ে আসে দোতারার শুকনো পেট থেকে।ধূপগুড়ির আদি বাসিন্দা নারায়ণ বাউল, সময়ের সব দৃশ্য নিয়েই ভাবেন তিনি। আর সেই রসদ দিয়েই তৈরী করেন গান, তবে এই মুহুর্তে একজন শিল্পীর স্বাধীন সত্তার ওপরেও যে চাপ আসে সেটিও বুঝিয়ে দেন খোলামেলা কথা বার্তায়।ভোট প্রসঙ্গে নিরুৎসাহী হলেও, বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা নিয়ে গান বেঁধেছেন এই বাউল।”আর নয় অন্যায়, বাংলা জবাব চায়”।( গান) বাউল জীবন প্রসঙ্গে নারায়ণ বাউল বলেন, এই ধূপগুড়িতে একটি লোকসঙ্গীতের স্কুল খোলার ইচ্ছে জাগে মনে।আজও সরকারের কাছ থেকে পাচ্ছি মাত্র এক হাজার টাকা সন্মানিক ভাতা। এই বাজারেও এই ভাতার অর্থ বাড়েনি একটি পয়সাও।তবু পাগল মন যে মানে না, তাই ঘুরে ফিরে আজও বলে যাই মনের ভাবের কথা বাউল সঙ্গীতের মাধ্যমে। মনে যে বেজায় ক্ষোভ তা তার কথাতেই স্পষ্ট।বাউলের অস্থায়ী আস্থানায় প্রায়ই সঙ্গীতের টানে চলে আসা তন্ময় নন্দী জানান, ওনারা প্রায়ই এখানে আসেন। এই গানের মাধ্যমে যেমন সমাজের বর্তমান রুপ ফুটে ওঠে তেমনই তার সঙ্গে এক প্রকার হারিয়ে যেতে বসা এই বাউল গানের টানেই বার বার চলে আসি। ভালো লাগে এই পরিবেশকে।