নতুন বাবা-মার কাছে পৌঁছালো কলি। জন্মের পর অজানা কারণে মা-বাবার চোখের কাটা হয়ে উঠেছিল সদ্যোজাত কলি। তাই হয়তো জন্মদাতা মা-বাবা তাকে হাসপাতালের বাইরে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কলিকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছিল তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসার পর কলি সুস্থ হয়ে ওঠে। তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসারত চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীরা বহুদিন হাসপাতালের মধ্যেই তাকে লালন পালন করে। হাসপাতালের চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীরা ওই ছোট্ট শিশুর নাম রাখে কলি। পরবর্তীতে কলির ঠাই হয় কোচবিহারের একটি হোমে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলির প্রোফাইল সরকারি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। সেই ওয়েবসাইট থেকেই কলির সম্বন্ধে খোঁজখবর নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমেরিকার এক দম্পতি। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আজ ওই দম্পতি সরকারি হোম থেকে কলিকে দত্তক নেয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয় কলিকে।