মাঝে মাত্র একটা রাত্রি, আগামীকাল রবিবার সকাল হলেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিম ন্ত্রীনিশীথ প্রামানিকের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে, যেখানে ২৫ হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে স্বয়ং উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। একদিকে যেমন রাজনৈতিক প্রস্তুতি তুঙ্গে, ঠিক তার পাশাপাশি প্রশাসনিক তৎপরতাও রয়েছে তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই পুলিশে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা ভেটাগুরি চত্বর। ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা। কোচবিহার জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে সুরক্ষা ব্যবস্থার কোন ত্রুটি থাকবে না সম্পূর্ণ এলাকায়। জেলা পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা সরাসরি বিষয়টির তত্ত্বাবধান করছেন। কোন অবস্থাতেই নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ির কাছাকাছি যেতে দেওয়া হবে না কোন কর্মী সমর্থককে। যা কর্মসূচি করতে হবে সমস্ত টাই হবে রাস্তায়। সেই দিক থেকে বিচার করলে শুরু হওয়ার আগেই কোথাও ব্যাক ফুটে পৌঁছে গেল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির নাম পরিবর্তন করে ইতিমধ্যেই অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নামকরণ হয়েছে বলেও তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে জেলার সমস্ত নেতারাই উপস্থিত থাকবেন বলে জানান অভিজিৎ বাবু। দিনহাটা ওয়ান বি ব্লকের সভাপতি অনন্ত কুমার বর্মন বলেন, ইতিমধ্যেই কর্মী সমর্থকদের জন্য দলের তরফ থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিনহাটা পৌরসভা থেকে আসছে পানীয় জলের গাড়ি। কর্মী সমর্থকদের বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে রাস্তার দুই ধারে। তাদের দুপুরে খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে মঞ্চের পাশে। তিনি আরো বলেন, কোচবিহার দক্ষিণ, দিনহাটা, সিতাই, শীতলকুচি এবং নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি অংশ থেকেই মূলত কর্মী সমর্থকরা আসবেন। তারা যে গাড়িগুলোতে আসবেন সেগুলোকে আলাদাভাবে সুরক্ষিত স্থানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকল কর্মী সমর্থকরা যাতে কোনভাবে কোন অসুবিধা না করেন সেই দিকে নজর রাখছে দল। অনুমান করা হচ্ছে ২৫ হাজারের বেশি কর্মী সমর্থক উপস্থিত থাকবেন কর্মসূচিতে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে এতসব এর মধ্যেও কোথাও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ভেটাগুড়ির ব্যবসা নিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী বিমল দেব বলেন, প্রচুর লোকজন আসবেন তারা কে কি ভূমিকায় থাকবেন বোঝা মুশকিল, তাই দোকান বন্ধ রাখাটাই ভালো হবে বলে দাবি করেন তিনি। অপর এক ব্যবসায়ী উদয়ন সরকার বলেন, কিছুটা তো অসুবিধে হবেই তবে লোকজন বেশি থাকলে বেচাকেনাও ভালো হবে।
তবে সার্বিকভাবে কি হতে চলেছে? তা এখনও ধোঁয়াশা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ব্যাবসার ক্ষেত্রে কতখানি অনুমতি দেবে সেটা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই দিনহাটার ব্যবসা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতি। সুতরাং সে ক্ষেত্রে ভেটাগুড়ির ব্যবসা কতটুকু খোলা থাকবে সেটাই এখন দেখার। শনিবার দুপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আসেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ,সঙ্গে ছিলেন দিনহাটা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ত্রিদিব সরকার, দিনহাটা থানার আইসি সুরজ থাপা সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।