পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়ে সাম্প্রতিক অতিমারীর সময়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। এর ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এই সেক্টরের উপরে এবং লকডাউনের সময়কালে প্রচন্ড ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল কনক্লেভে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞগণ পোল্ট্রি চাষী ও পোল্ট্রি শিল্পের সমস্যাবলী ও উত্তরণের দিশা নিয়ে তাদের সুচিন্তিত মতামত পেশ করেছেন। আলোচকদের মধ্যে ছিলেন অমিত সারাওগি, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, আনমোল ফীডস, সুরেশ রায়ুডু চিত্তুরি, ভাইস-চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর, শ্রীনিবাস ফার্মস প্রাইভেট লিমিটেড ও চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন, প্রফেসর (ড.) পি কে শুক্লা, সঞ্জয় মুখার্জি, শ্রীমতী পল্লবী মাথুর লাল, সিনিয়র ক্লায়েন্ট অফিসার, ইপসোস (ইন্ডিয়া), হরিশ তিব্রেওয়ালা, জয়েন্ট সিইও, মিরাম ইন্ডিয়া, ড. যাদু নন্দন, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, জয়কা হসপিটালিটি ভেঞ্চার্স, শ্রীমতী মেঘলাল সিং, ফাউন্ডার, মম্মি’জ কিচেন, সেলিব্রিটি শেফ, ভিকি রত্নানি ও বাহাদুর আলি, ফাউন্ডার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর, আইবি গ্রুপ ও গুলরেজ আলম, ডিরেক্টর, আইবি গ্রুপ।
চলতি বছরের প্রথমদিকে পোল্ট্রির মূল্য ও চাহিদা যথেষ্ট ভাল ছিল। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে চিকেন ও ডিম বিষয়ে নানারকম ভ্রান্ত প্রচার চলতে থাকায় পোল্ট্রি চাষীরদের প্রচন্ড ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। চাহিদাও খুব কমে যায়। এর ফলে, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেক্টরেও প্রভাব পড়ে এবং ফীড প্রস্তুতকারকরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
আনমোল ফীডস-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর, অমিত সারাওগি জানান, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ভ্রান্ত প্রচারের ফলে তিন মাসে পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি হয়েছে ২৬,০০০ কোটি টাকারও বেশি। তাছাড়া প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রির মূল্যও প্রায় ১০-১৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ৭০ মিলিয়ন ক্ষুদ্র চাষী ঋণের ফাঁদে আটকে পড়েছেন। এজন্য তারা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একাধিকবার চিঠি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।