রাজনীতির মঞ্চে নতুন জল্পনার সূত্রপাত ঘটে ছিল বিগত বেশ কিছুদিন ধরে। বদলাতে পারতো রাজনৈতিক সমীকরণ। বিহারের রাজনীতিতে পুরনো সমীকরণ নতুন রূপে দেখতে পাওয়ার সুযোগ ছিল। এবার উত্তর মিলল সমস্ত প্রশ্নের। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর যে মন্তব্য করলেন তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, নতুন ভাবে পুরনো কোনও অধ্যায় শুরু হচ্ছে না। এতএব নীতীশ কুমারের সঙ্গে তিনি আর কাজ করবেন না।
সম্প্রতি বিহারে ‘জন সুরজ’ নামে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পদযাত্রার সূচনা করেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলায় জামুনিয়া গ্রামে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে নীতীশ কুমারকে নিশানা করেন তিনি। ‘পিকে’র স্পষ্ট কথা, কোনও ভাবেই আবার নীতীশ কুমারের সঙ্গে কাজ করবেন না তিনি। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর আসন ছাড়লেও, নীতীশ কুমারের হয়ে তাঁকে কাজ করতে দেখা যাবে না।
কিন্তু কেন নীতীশের সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন না প্রশান্ত কিশোর? আসলে ‘পিকে’ দাবি করেছেন, ২০১৪ সালে বিহারে লোকসভা নির্বাচনে জেডিইউ-র পরাজয়ের পর দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করে নীতীশ সাহায্য চেয়েছিল। এরপরে ২০১৫ সালে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশকে ক্ষমতায় আনতে তিনি সাহায্য করেছিলেন বলেই জানান তিনি। কিন্তু প্রশান্তের কথায়, এতকিছুর পর নীতীশ তাঁকে ‘জ্ঞান’ দিচ্ছেন, যেটা তিনি কখনও মেনে নেবেন না।