এই মুহূর্তে রাজ্য জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ৷ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের মাঝেই এবার অভিযোগ দুর্গাপুজোর অনুদান বাড়ানো নিয়ে৷ সম্প্রতি দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে ফের জনস্বার্থ মামলা৷ এই নিয়ে মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল৷
প্রথম জনস্বার্থ মামলাটিতে মামলাকারীর প্রশ্ন ছিল সরকার যেখানে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে পারছে না, সেখানে পুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে৷ এর ব্যাখ্যা কী? এবার যে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে বেসরকারি হাসপাতালগুলো ফান্ড নেই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে।
সরকার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে টাকার ব্যবস্থা না করে ক্লাবগুলিকে কোন যুক্তিতে টাকা দিচ্ছে? প্রসঙ্গত, মামলাকারী নিজে পেশায় একজন চিকিৎসক। পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা৷ তাঁর নাম শান্তনু দে।
মামলাকারী শান্তনু দে’র প্রশ্ন, রাজ্য বাজেটে এই অনুদানের টাকা কি বরাদ্দ ছিল? যদি বরাদ্দ না থাকে তাহলে কীভাবে সরকার এই টাকা দেয়? গত দু’বছর পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এবার এক লাফে সেই আর্থিক অনুদানের পরিমাণ বেড়ে ৬০ হাজার করা হল। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের বিলে ৬০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে।
মামলাকারীর দাবি, পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুতের বিলে ৬০ শতাংশ ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, একই সুবিধা রাজ্যের সমস্ত বাড়ির সংযোগেও দেওয়া হোক। ডা. শান্তনুর বক্তব্য, স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবায় প্রাইভেট নার্সিংহোমগুলির কোটি কোটি টাকা বিল বাকি। তাই নার্সিংহোমগুলি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আর রোগী ভর্তি নিতে চাইছে না।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে সরকারের মধ্যে উদাসীনতা রয়েছে৷ ফান্ড নেই বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। আমফানের কোটি কোটি টাকা এখনও বাকি। অথচ দুর্গাপুজোর জন্য এই বিপুল টাকা দিতে সরকারের কোনও অভাব হয় না।