সম্প্রতি গরুপাচার কাণ্ডে চোদ্দ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে রাজ্যের হেভি ওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। এর আগেই গ্রেফতার বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷
একজন সাধারণ কনস্টেবল হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বৈভব দেখে চোখ কপালে উঠেছে রাজ্যবাসীর৷ নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে সায়গলের৷ ঠিক একই ভাবে অনুব্রতর দাক্ষিণ্যে ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন তাঁর গাড়ির চালক আনারুল শেখ৷
জানা গিয়েছে, সায়গলের মতো অত বিশাল সম্পত্তি না হলেও, আনারুলও কিন্তু কোটিপতি৷ সায়গলের মতো এই আনারুলও ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির ছায়াসঙ্গী৷ অনুব্রতর গাড়ির চালক হওয়ার সুবাদে তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতেন তিনি৷
বোলপুর থেকে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার দূরে খিরুলি গ্রামে বাড়ি আনারুল শেখের। এর পাশাপাশি কয়েক বছর আগে গুরুপল্লীতেও একটি বাড়ি কেনেন তিনি৷ বোলপুরের জামবনি বাসস্ট্যান্ডের পিছনের এলাকাই হল গুরুপল্লী। যা বর্তমানে শহরের অন্যতম অভিজাত এলাকা হিসাবে চিহ্নিত।
এই এলাকায় জমির দর কাঠা প্রতি ৮-১০ লক্ষ হবে৷ সেই গুরুপল্লীতেই সাড়ে তিন কাঠা জমির উপর রয়েছে আনারুলের সাজানো গোছানো ঝা চকচকে দোতলা বাড়ি৷ প্রাসাদোপম না হলেও এই বাড়ির আকারও খুব একটা ছোট নয়৷
এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে, গুরুপল্লীতে আনারুলের খোঁজ মেলেনি৷ ফোনেও পাওয়া যায়নি তাঁকে৷ তবে বাড়িতে ছিলেন আনারুলের মা হাজানারা বিবি ও ভাই জানে আলম৷ আনারুলের ভাই জানান, তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি৷ আর আনারুল ১০ বছর ধরে অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি চালান৷
অভিজাত এলাকায় বাড়ি তৈরির পাশাপাশি চলতি বছর স্ত্রী সালমা বেগমের নামে বোলপুর শহরের অনুতিদূরে ইলামবাজার– বোলপুর রোডের উপর এক বিঘারও বেশি জমি কেনেন আনারুল। স্থানীয়দের কথায়, ওই জমির বর্তমান বাজার দর কমপক্ষে এক কোটি টাকা। একজন গাড়ির চালক হয়ে আনারুলের কাছে কী ভাবে এত সম্পত্তি এল, তা নিয়ে স্বাভাবিত ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে৷