অবশেষে জয়ের হাসি হাসলেন তিনি৷ পূর্ব অনুমানকে সত্যি করে মার্গারেট আলভাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে উপরাষ্ট্রপতি হলেন জগদীপ ধনকড়৷ উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৭১টি ভোট। সেখানে ৫২৮টি ভোট পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল৷
মোট ভোটের ৭০ শতাংশ পেয়েছেন তিনি। ভোটের নিরিখে বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডুকেও পিছনে ফেলে দিয়েছেন ধনকড়। তাঁর থেকে প্রায় দু’শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল৷
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মোট ৭৮০ জন সাংসদের ভোট দেওয়ার কথা। লোকসভার ৫৪৩ জন এবং রাজ্যসভার ২৪৫ জন সাংসদ রয়েছেন। তবে, এই মুহূর্তে রাজ্যসভায় আটটি আসন খালি রয়েছে। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকেন তৃণমূলের ৩৪ জন সাংসদ।
দলের নিষেধ থাকলেও, তা অগ্রাহ্য করে অবশ্য ভোট দেন শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী। তথ্য বলছে, এদিন ৭২৫ জন সাংসদ জগদীপ ধনকড় এবং মার্গারেট আলভার ভাগ্য নির্ধারণ করেন। আলভাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল৷
এনডিএ-র মোট সাংসদ সংখ্যা ৪৪১। তার মধ্যে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ৩৯৪৷ পাঁচ জন মনোনীত সাংসদও ধনকড়কেই সমর্থনের জানিয়েছেন। বিরোধী প্রার্থী মার্গারেটকে সমর্থন জানিয়েছিল কংগ্রেস সহ এমকে স্ট্যালিনের ডিএমকে, লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল, শরদ পওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কেজরীবালের আম আদমি পার্টি এবং বামেরা। শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর ন’জন সাংসদও মার্গারেটকে সমর্থন জানান। বিরোধী সাংসদদের ২০০টি ভোট গিয়েছে ধনকড়ের ঝুলিতেই৷