শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অর্পিতার একের পর এক ফ্লাট থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। তাঁর দুটি ফ্ল্যাট থেকে মিলেছিল ৫০ কোটি নগদ টাকা এবং সোনা।
টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটের থেকেও বেশি সম্পত্তি ছিল বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে। টাকা তো বেশি ছিলই, সোনার পরিমাণও ছিল আকাশ ছোঁয়া। ঠিক কত পরিমাণ সোনা ছিল তাঁর ওই ফ্ল্যাটে। এখন তা স্পষ্ট জানা গিয়েছে। আদালতে ইডির পেশ করা নথি বলছে অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে কার্যত ছিল সোনার খনি। মোট ৪ কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের সোনা মিলেছে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে।
কী কী ছিল সেখানে? ইডির নথি অনুযায়ী, ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশিতে পাওয়া গিয়েছে ৫ টি আংটি, ৬ টি সোনার বাট, ৭ টি সোনার হার, ৯ টি নেকলেস, ১১ টি সোনার বালা, ১৮ জোড়া কানের দুল, ‘এ’ লেখা একটি লকেট, একটি সোনার পেন, এবং একটি সোনার ফটো ফ্রেম। সব মিলিয়ে যার মূল্য ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। এখান থেকেই আলাদা ভাবে ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ নগদ উদ্ধার হয়েছিল। টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে মিলেছিল ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা।
শুধু ওয়ারড্রোব থেকেই নয়, টাকা উদ্ধার হয়েছে অর্পিতার বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাটের শৌচাগার থেকেও৷ ব্যাগ ও প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে রাখা ছিল ওই টাকা। যদিও এই টাকা বা সম্পত্তি কার তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা সম্ভব হয়নি। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় দুজনেই বলছেন যে এই টাকা তাঁদের নয়। অর্পিতা তো সরাসরি বলেছেন যে তাঁর অজান্তে ফ্ল্যাটে টাকা রাখা হত এবং পার্থর লোক এই টাকা আনত। অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, সময়ে সব বলবেন তিনি।