বাংলার পর বড় দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে এলো রাজধানীতেও। সম্প্রতি দুর্নীতির একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। দিনভর তল্লাশি চলে গোটা রাজধানী জুড়ে। এমনিতেই সেই নিয়ে বাণিজ্য নগরীতে তোলপাড় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
জমি দুর্নীতি কাণ্ডে ও বেআইনিভাবে আর্থিক লেনদেন মামলায় শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে গ্রেফতার করেছে ইডি। গ্রেফতারের পর এবার তাঁর সম্পর্কে বিস্ফোরক কিছু তথ্য ইডি পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, কয়েক কোটি টাকা দিয়ে ১০ টি জমি কিনেছিলেন রাউত।
সেই তথ্যই হাতে এসেছে ইডি আধিকারিকদের। আপাতত আজ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতে আছেন শিবসেনা সাংসদ। আরও কিছু তথ্য জানা যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মূলত পত্র চউল জমি দুর্নীতি মামলায় জড়িত শিবসেনা নেতা, অভিযোগ এমনই।
এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই ইডি জানতে পেরেছে যে, নগদ তিন কোটি টাকা দিয়ে ১০ টি জমি কিনেছিলেন সঞ্জয় রাউত। মুম্বইয়ের কিহিম বিচ, আলিবাগে মোট ১০ টি জমি কেনা হয়েছিল বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি ইডি সঞ্জয় রাউতের বাড়ি সহ মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। হানা দেওয়া হয়েছিল কয়েকটি সংস্থাতেও। সেখান থেকেই এই সংক্রান্ত বেশকিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি এও জানিয়েছে, পত্র চাউলের পুনর্নিমাণ নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছিল তার অংশ হিসাবেই সঞ্জয় রাউতের পরিবার ১ কোটি টাকা পেয়েছিলেন।
এর আগেই ইডি জানিয়েছিল, সঞ্জয় রাউতের বাড়ি থেকে মিলেছে নগদ সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা। ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি। মহারাষ্ট্রে উদ্ধব-সরকারের পতনের একমাস পর শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে জমি দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করেছে ইডি। ‘সময়’ নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। অন্যদিকে, সঞ্জয় নিজে জানিয়েছেন, মাথা নিচু করব না, লড়াই চলবে।