সময়ের আগেই দেশে প্রবেশ হয়েছে বর্ষার। বর্ষার আগমন ঘটলেও, বৃষ্টি কিন্তু হচ্ছে বিক্ষিপ্ত ভাবে। কখনও কাটফাটা রোদ৷ কখনও আবার সূর্য্যিমামা মুখ লুকাচ্ছে কালো মেঘের আড়ালে৷ কার পরেই দু’এক পশলা বৃষ্টি৷ গত কয়েক দিন ধরে এমনই রোদ-বৃষ্টির খেলা চলছে শহরে৷
আপাতত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস৷ দক্ষিনবঙ্গের জেলাগুলিতে এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত পরিমাণ অনেকটাই কম৷ যার জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে কৃষিক্ষেত্রে৷ কৃষিতে ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে গতকাল পর্যন্ত ৪৭ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি দফতর৷ সেচের মাধ্যমে জমিতে আমন ধান রোয়ার কাজ হলেও অন্যান্য সব্জির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্লকে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও সক্রিয়তা হারিয়েছে মৌসুমী বায়ু৷ উত্তরে চার শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এইদিকে চলতি খরিফ মরসুমে বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পে ধান ও ভুট্টা চাষে বিমা করার জন্য রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে আবেদন পত্র চেয়েছে। এদিকে হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, শুক্রবার দুপুরে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।