চলতি বছরের শুরুর দিকে শুরু হয়েছে রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের যুদ্ধ। গত ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এই যুদ্ধ আরও কতদিন ধরে চলবে এখনও তা বলা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেন রাশিয়াকে নতুন করে সামরিক সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যু্দ্ধাস্ত্রবাবদ ব্রিটেনকে ফের ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সহযোগিতার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এছাড়া ব্রিটিশ সরকার ইতিমধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের নাগরিকদের সেদেশে আশ্রয় দিতে ৮৭ হাজার ভিসা মঞ্জুর করেছে। ভিসাধারীদের একাংশ নিরাপদ জীবনের খোঁজে এখন ব্রিটেনের মাটিতে আশ্রিত।
রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের যুদ্ধ কবে থামবে এখনই তা বলা যাচ্ছে না। বরং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেন ইস্যুতে অনড় থাকায় যুদ্ধ যেভাবে চলেছে আগামীদিনেও সেভাবেই চলবে। যুদ্ধের ভয়াবহতার শিকার ইউক্রেনের বাসিন্দা নাবালক-নাবালিকা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকরা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বেশ কিছুদিন ধরেই মিত্র দেশগুলির কাছে সামরিক সহযোগিতার আর্জি জানাচ্ছেন। কারণ যুদ্ধ চালাতে হলে ইউক্রেনের এখন প্রয়োজন অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। জেলেনস্কির এই আবেদনে সাড়া দিয়েছে ব্রিটেন। তবে এর আগেও ব্রিটেন যু্দ্ধরত ইউক্রেনকে আর্থিক সহযোগিতা করেছে।
ফের নতুন করে ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা করতে চলেছে ব্রিটেন। এখবর জানিয়েছেন খোদ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বরিস জনসন জানিয়েছেন, ব্রিটেনকে আবারও ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সামরিক খাতে সহযোগিতা করা হবে।
ব্রিটেন কিয়েভকে সামরিক সহযোগিতার জন্যে যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তাতে থাকছে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে শুরু করে ড্রোন, ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী মিসাইল এবং অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র। বেশ কিছুদিন ধরেই পুতিনের সঙ্গে বরিস জনসনের ইউক্রেন যুদ্ধের ইস্যুতে বাগবিতণ্ডা চলছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণকে বর্বরোচিত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
গত মে মাসেও ব্রিটেন সামরিক খাতে সহযোগিতা বাবদ ইউক্রেনকে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন পাউন্ড অর্থ সহযোগিতা করেছে। এরপর ফের ইউক্রেনকে আর্থিক সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিল ব্রিটিশ সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে যে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে ব্রিটেনের মতে এর ফলে গোটা ইউরোপের নিরাপত্তাই বিপদের মুখে পড়েছে।
ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা করার জন্যে ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সেদেশের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জনসন প্রতিরক্ষা সরঞ্জামও বেশি সংখ্যায় তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন যা ইউক্রেনের সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে চলেছে ব্রিটেন। এছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের নাগরিকদের ব্রিটেনে আশ্রয় দিতেও উদ্যোগী ব্রিটিশ সরকার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ইউক্রেনীয়দের জন্যে ৮৬ হাজার ভিসা মঞ্জুর করেছে ব্রিটিশ সরকার। ভিসাপ্রাপ্তদের একাংশ ইতিমধ্যে ইউক্রেনে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রিত।