স্কুল ফির সমস্যা সমাধানে এবার রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ

বিগত দু বছরের বেশি সময় ধরে করোনা সংক্রমণের তান্ডব চ লায় বন্ধ ছিলো সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ এই লকডাউনের সময় থেকেই বেসরকারি স্কুলগুলির ফি বা খরচ নিয়ে অভিভাবকদের অভিযোগের অন্ত নেই৷ সেই সমস্যা এখনও রয়েছে৷

এবার এই সমস্যা সমাধানে এবার উদ্যোগী রাজ্য সরকার৷ অভিভাবকদের যাবতীয় অভিযোগের সমাধান করতে স্বাস্থ্য কমিশনের ধাঁচে শিক্ষা কমিশন তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বেই এই প্রসঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেটাই এবার বাস্তবায়নের পথে৷

সূত্রের খবর, চলতি মাসেই শিক্ষা কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করতে পারে রাজ্য সরকার। এই কমিশনের মাথায় রাখা হবে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে৷ কমিটিতে থাকবেন সরকার মনোনীত শিক্ষা বিষয়ক প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে মন্ত্রিসভার অনুমোদন মিলেছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হবে বলেই বিকাশ ভবন সূত্রে খবর।

ছেলেমেয়েদের ভালোভাবে শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যেই অভিভাবকরা সন্তানদের বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করেন। কিন্তু, বেসরকারি স্কুলগুলি যেভাবে দিনের পর দিন পড়াশোনার খরচ বৃদ্ধি করে চলেছে, তাতে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা৷ এই সমস্যা সমাধান করতেই শিক্ষা কমিশন তৈরি আবশ্যিক হয়ে পড়েছে৷ এমনটাই মন্তব্য স্কুল শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের। 

কলকাতা তো বটেই, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলে একই সমস্যা৷ ফি বৃদ্ধি নিয়ে অভিযোগ ভুড়ি ভুড়ি। মূলত খরচ সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্যই শিক্ষা কমিশন তৈরি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

বেসরকারি স্কুলগুলি বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ, তারা মর্জি মাফিক ফি বাড়িয়ে চলেছে। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে স্কুল খোলার পর একাধিক বেসরকারি স্কুল ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন স্কুলের বাইরে অভিভাবকদের বিক্ষোভের ঘটনাও নেহাত কম নয়৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয়েছিল পুলিশকে৷ অভিভাবকদের অভিযোগ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল৷

সেই সময়ই রাজ্য সরকার শিক্ষা কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “আমাদের পক্ষে সরাসরি বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তবে, অভিযোগ উঠলে স্বাস্থ্য কমিশন যেমন কাজ করে, শিক্ষা কমিশনও মানুষের স্বার্থে সেই ভাবে কাজ করবে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *