সব সময়ই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে ভারত বাংলাদেশের মাঝে। এবার সেই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হচ্ছে। আরও কাছাকাছি আসতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ। জানা যাচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে খুব শীঘ্রই ভারত সফরে আসতে চলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে এ খবর জানানো হয়েছে। চলতি বছরে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকেই ভারত সফরে আসছেন হাসিনা।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে সম্ভবত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ভারত সফরে আসছেন হাসিনা। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন মোদির আমন্ত্রণে সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এসে বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসন পাশাপাশি মাদক পাচার, নারী এবং শিশু পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও মোদির সঙ্গে আলোচনা করবেন।
এই সফর প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের এই মুহূর্তে দেশে ফিরিয়ে দেওয়াই হল একটি স্থায়ী সমাধান।আর এটাই হবে ভারত এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আলোচনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে ভারত কী ভাবে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরাতে সাহায্য করতে পারে এই বৈঠকে সেই নিয়েই আলোচনা হবে হাসিনা এবং মোদীর মধ্যে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের আগস্ট মাস থেকে মায়ানমারের প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী ইতিমধ্যেই পালিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আশ্রয় নিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বর্তমানে এটাই বাংলাদেশের অন্যতম বড় আন্তর্জাতিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। পশ্চিম মায়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়তে থাকা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের পর তাদের বাংলাদেশে প্রবেশ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ইস্যুতে বাংলাদেশ-ভারতের থেকেই সাহায্য প্রত্যাশা করছে। আর সেই বিষয়ে কথা বলতেই হাসিনার আগামী এই সফর বলে জানা যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর আরো জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই মায়ানমার সরকারের সঙ্গেও রোহিঙ্গাদের নিয়ে কথা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশগুলোও যদি মায়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তাহলে সমস্যা আরও দ্রুত সমাধান হবে। আর সেই উদ্দেশ্য নিয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনা করতেই শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে আসছেন বলে খবর।