বিগত কয়েকদিন নাজেহাল করা গরম থেকে সামান্য স্বস্তি পেয়েছে কলকাতাবাসী৷ এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনার কথা জানাল দিল্লির মৌসম ভবন৷ আগামী ৫ মে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বিচ্ছিন্ন ভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে৷ সেই সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া৷ আইএমডি-র তরফে একটি বুলেটিনে বলা হয়েছে, “৬ মে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা আরও সুস্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত করা সম্ভাব হবে৷’’
আয়লা, আম্পান, যশ-এর মাসেই বঙ্গোপসাগরে দেখা দিচ্ছে নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের চোখরাঙানি। যদিও ঘূর্ণিঝড় হবে কি হবে না, তা এত আগে থেকে বলা সম্ভব নয়৷ তবে সেই আশঙ্কা নিশ্চিত ভাবেই রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় হলে তার অভিঘাত পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পড়বে বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাও একেবারে অমূলক নয়।
উইন্ডি অ্যাপ বলছে, আগামী ১০ মে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে একটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে। তবে উইন্ডি অ্যাপ সব সময় সঠিক তথ্য দেয় না, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এমনকি এই অ্যাপে ঘণ্টায় ঘণ্টায় পূর্বাভাস বদলে যায়। তবে আবহাওয়াবিদদের কথায়, পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে একটা দুর্যোগের সম্ভবনা রয়েছে৷ আগামী সোমবার অর্থাৎ ৯ মে থেকে বুধবার ১১ মে’র মধ্যে নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে৷ রবিবার, সন্ধ্যা থেকেই আবহাওয়ায় বদল লক্ষ্য করা যাবে বলে পূর্বাভাস৷ তবে সেই নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গে কতটা প্রভাব ফেলবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়৷
দিল্লির মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ৪-৫ মে’র মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। পরবর্তীকালে সেটি উত্তর ও উত্তরপশ্চিমে অগ্রসর হবে। পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে আসার পর এই নিম্নচাপের অভিমুখ উত্তর এবং উত্তরপূর্বমুখী হতে পারে। তখনই সে শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এই সময়ের মধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷ আপাতত উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশ উপকূল পর্যন্ত গোটা অঞ্চলের উপর সম্ভাব্য নিম্নচাপ এবং তা থেকে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ বাতাসের গতির উপর ভিত্তি করে প্রথমে এলপিএ ডিপ্রেশনে, তারপর ডিপ ডিপ্রেশনে এবং তারপর একটি ঘূর্ণিঝড় বা সুপার সাইক্লোনিক স্টর্মের মতো শক্তিশালী ঝড়ে পরিণত হয়।