জেলাশাসকের উপস্থিতিতেই শেষকৃত্য

এই মুহর্তে রাজ্যে উত্তাল পরিস্থিতি রামপুরহাট-কাণ্ডে৷ তৃণমূল নেতা খুনের পর রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে তাতে একাধিক মৃত্যু হয়েছে। একে গণহত্যাই বলা হচ্ছে। আর এই ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে দেহ সৎকার হল। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে দেহগুলির ময়নাতদন্তের পর গ্রামে নিয়ে যান প্রশাসনের আধিকারিকরা। সেখানে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে তাদের শেষকৃত্য হয়। তবে প্রশ্ন উঠছে এখানে। রাতের অন্ধকারে সৎকার করা হল কেন? তাহলে কি বিক্ষোভের ভয় ছিল?

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের পুড়ে যাওয়া বাড়ি এবং এলাকা পর্যবেক্ষণের পর সিট বলছে, দুর্ঘটনা নয়, আগুন লাগানো হয়েছিল। কারা লাগিয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা এই গ্রাম ও পাশের গ্রামের বাসিন্দা। যাদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল তাদের ময়নাতদন্ত হয়। তবে কোনটি পুরুষের দেহ এবং কোনটি নারীর, সেটি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্ত থেকে নিয়ে আসার পর দেহগুলির সৎকারের ব্যবস্থা করে প্রশাসন।  রাত ৯ টার পর সেই প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং নিয়ম মেনেই কবর দেওয়া হয় মৃতদেহ গুলি।

কিন্তু এই ঘটনায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, একটি বাড়িতে আগুন লাগানোর জেরে সাত জনের একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের। অর্থাৎ তাঁর কথায় মোট ৮ জন। তবে রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে দেহ পৌঁছেছিল ৭ জনের। আবার দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সোমবার তিন জনের মৃতদেহ তাঁরা উদ্ধার করেছিলেন। মঙ্গলবার সকালে একটি বাড়ি থেকেই সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাহলে তাদের কথায় মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *