আবার বৈঠকে বসতে চলেছে ইউক্রেন এবং রাশিয়া। অবিরাম গতিতে চলছে যুদ্ধ। টানা প্রায় ২০ দিন, কিন্তু যুদ্ধে শেষ হওয়ার বিন্দুমাত্র ইঙ্গিত নেই। লাগাতার হামলা, বোমা, গুলিতে ছন্নছাড়া অবস্থা ইউক্রেনের। সম্প্রতি আবার এক জনবসতিপূর্ণ এলাকায় জোড়া বিস্ফোরণ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, শুধুমাত্র মারিউপোলে মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে বলেও খবর। এই পরিস্থিতিতে আবার ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসছেন।
জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এই জোড়া বিস্ফোরণ ঘটেছে। জনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি বাড়িতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলার ফলে কমপক্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন এবং তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ওই এলাকা থেকে মোট ৬৩ জনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতির মাঝে দুই দেশের মধ্যে চতুর্থ বৈঠক হবে বলে খবর। যদিও মুখোমুখি নয়, ভার্চুয়াল মাধ্যমেই এই বৈঠক হওয়ার কথা। এখন দেখা যাক, এই বৈঠক থেকে ন্যূনতম কোনও সমাধান সূত্র মেলে কিনা। কিছুদিন আগেই রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন যে, ইউক্রেনের সঙ্গে বৈঠকে ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে। সেই কথা যতটা সত্যি হয় ততই ভাল।
এদিকে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। দাবি করা হচ্ছে, সম্পূর্ণ মানসিক বিকৃতি থেকেই এই আক্রমণ চালিয়েছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। দাবি করেছে, রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের মস্তিস্ক বিভ্রাট হয়েছে ডিমেনশিয়ার কারণে। ক্যানসারের চিকিৎসার কারণে পুতিনের দেহে যে বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েড প্রয়োগ করা হয়েছিল, তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে রুশ প্রেসিডেন্টের যাবতীয় সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাঁর মুখ-গলা ফুলে যাচ্ছে। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই দাবি করা হচ্ছে, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট হয়তো আর নিজের মধ্যে নেই। যে স্টেরয়েড তিনি নিচ্ছেন তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্যই তাঁর মানসিক এবং শারীরিক বিকৃতি ঘটছে।