নিয়ম নীতি চালু হওয়ার সুফল মিলছে গোটা দেশে। দেশ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির ভয়াবহতা থেকে বেরিয়ে আসছে, তা আজ আরও বোঝা গেল। অনেক মাস পর আজ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের নীচে চলে এসেছে। সব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে অনেক আগেই চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে যাতে করোনার অতিরিক্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। তবে এখনই যে পুরোপুরি অসতর্ক হওয়া যাবে না সেটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। এরই মাঝে দেশের আজকের কোভিড পরিসংখ্যানে হেরফের।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ০১৩ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১১৯ জনের। পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্ত পর্যন্ত দেশে অ্যাক্টিভ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ০২ হাজার ৬০১ জন। পাশাপাশি মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৪৩ জন। এই মুহূর্তে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ০৭ হাজার ৬৮৬ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১৬ হাজার ৭৬৫ জন। এখনও পর্যন্ত দেশের মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৭৭ কোটি ৫০ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৩৫ ডোজ। দেশের পটিজিভিটি রেট আজ কিছুটা কমে হয়েছে ১.১১ শতাংশ। এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশের ওপর।
জরুরি ভিত্তিতে ১২-১৮ বছরের শিশুদের দেওয়া যাবে কোরবেভ্যাক্স টিকা। এমনটাই জানিয়েছে বায়োলজিকাল ই লিমিটেড সংস্থা। এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। এই ভ্যাকসিনের দাম পড়বে আনুমানিক ১৪৫ টাকা। দু’টি ডোজের এই ভ্যাকসিন বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য। এদিকে আবার আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে আইআইটি কানপুর। তাদের গবেষকদের দাবি, আগামী জুন মাস থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারে করোনা ভাইরাস চতুর্থ ঢেউ, যা চলবে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। মোটামুটিভাবে দিনক্ষণও বলে দিচ্ছেন তারা। বলা হচ্ছে, জুন মাসের ২২ তারিখ থেকেই ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হতে পারে, যা চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে এই ঢেউ কতটা ভয়ঙ্কর হবে তা এখন থেকে বলতে পারছেন না তারা কেউই।