স্বস্তি মিলছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণের সংখ্যায়৷ সংক্রমণ রুখতে করোনা বিধির সুফল কিছুটা হলেও মিলছে৷ আজ রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। আগের তুলনায় মৃত্যুও কমেছে। তবে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত অনেকটাই কমেছে তুলনায় যা স্বস্তির ব্যাপার। রাজ্যের আজ পজিটিভিটি রেট কিঞ্চিত কমে হল ১.১৪ শতাংশ। এদিকে সুস্থতার হার ৯৮.৪২ শতাংশ।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪৮ জন। সংক্রমিত জেলাগুলির মধ্যে আজ আবার প্রথম স্থানে কলকাতা। নতুন করে সেখানে সংক্রমিত যথাক্রমে ৭১ জন। উত্তর ২৪ পরগনা দ্বিতীয় স্থানে, সেখানে আক্রান্ত ৪৬ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লক্ষ ১১ হাজার ৫৬৯ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের মোট মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ০৬১ জনের। অন্যদিকে, একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ১ হাজার ৩২৩ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮৭৮ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ৬৩০।
এই আবহেই আগামীকাল থেকে খুলে যাচ্ছে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুল। কোভিড বিধি মেনেই এই স্কুল চলবে বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। প্রায় ২ বছর পর রাজ্যে খুলতে চলছে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক স্কুল। পাশাপাশি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, রাজ্যে বিধিনিষেধ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকছে। রাত্রীকালীন কার্ফু রাত ১১ টার পরিবর্তে ১২ টা থেকে শুরু হবে, চলবে ভোর ৫ টা পর্যন্ত। স্কুল খোলা ছাড়াও সব আইসিডিএস সেন্টারও খোলা হচ্ছে আগামী বুধবার থেকে। আসলে সাম্প্রতিক অনেক রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল যে, রাজ্যের শিক্ষার মান এবং হার দুইই পড়ে গিয়েছে লাগাতার স্কুল বন্ধ থাকার কারণে। বহু পড়ুয়া অক্ষর চিনতে পারছে না, বাক্য গঠন করতে পারছে না। এমনকি পঞ্চম বা অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির অঙ্ক সমাধান করতেও অনেকাংশে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই দ্রুত স্কুল খোলার দাবি বাড়ছিল।