চলতি মাসেই রাজ্যে আসন্ন পুরসভা ভোট। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বাকি ১০৮ পুরসভার নির্বাচন সংগঠিত হতে চলেছে। বিজেপির তরফ থেকে এই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান হলেও তা মানেনি নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে। আর আজ এই ভোটের জন্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে ঘাসফুল।
এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, কোনও বিধায়ক লড়বেন না বাকি পুরভোটে। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকেও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। আসন্ন পুরভোটে নতুনদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাই যাকে প্রার্থী করা হয়েছে তাকেই সমর্থন করতে হবে বলে তিনি দলীর কর্মীদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, এই প্রার্থী তালিকায় নতুনদের সঙ্গে প্রবীণদেরও একটা সমন্বয় রাখার চেষ্টা করেছে দল।
উল্লেখ্য, ভোটগ্রহণ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ ফেব্রুয়ারি। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে ১০৮ পুরসভাতে। তবে পুরভোটে প্রচারের সময়সীমা বাড়িয়েছে তারা। শেষ প্রচারের সময়সীমা ৭২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে করা হল ৪৮ ঘণ্টা। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত করা যাবে প্রচার।
বিজেপির তরফ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে, রাজ্যের একাধিক জেলায় করোনা পরিস্থিতি এখনও ঠিক নেই। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাই পুরভোট যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তা হচ্ছে না বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দফতরে বিজেপির এক প্রতিনিধি দলও গিয়েছিল এবং তারা স্মারকলিপি জমা দেয়। তাদের দাবি ছিল ২৭ ফেব্রুয়ারির ভোট পিছনো হোক অন্তত এক মাস। এছাড়াও ১২ ফেব্রুয়ারি যে ভোট রয়েছে তার যে গণনা ১৪ ফেব্রুয়ারি তাও পিছিয়ে দেওয়া হোক। যতদিন না পর্যন্ত সব পুরসভার ভোট হচ্ছে ততদিন যেন গণনা না হয়। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজেপির এই আর্জিকে গুরুত্ব দেয়নি।