তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যের মসনদে বসার পরেও জয় হয়নি কাঁথিতে। তাই এই মুহূর্তে রাজ্যের পাখির চোখ কাঁথি পুরসভা। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ক্ষমতায় ছিলেন অধিকারী পরিবারের সদস্যরা। ওই পরিবারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কাঁথি শহরে আঠিলাগড়ি থানাপুকুরপাড়ে কেন্দ্রীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় উদ্বোধন করলেন রাজ্য সরকারের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি।
অস্থায়ী এই দলীয় অফিসে ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন মৎস্যমন্ত্রী। নবনির্মিত দলীয় অফিস উদ্বোধনকে ঘিরে একটি পূজা-অর্চনা আয়োজন করেন উদ্যোক্তারা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। এখান থেকে কার্যত কাঁথি পুরসভা নির্বাচন পরিচালনা করা হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ আগামী পুরসভা নির্বাচনে ২১ টা মধ্যে ২১ টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করা। কিন্তু পাল্টা অধিকারী পরিবারও পুরসভা দখল করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
সুপ্রকাশ বলেন, ‘‘বিগত কয়েক দশক ধরে কাঁথির মানুষ অধিকারী পরিবারকে শাসন করার ক্ষমতা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে শহরের উন্নয়নের পরিবর্তে নিজেদের উন্নয়ন করেছেন৷ এবারের ভোটে কাঁথির মানুষ যাতে তার যোগ্য জবাব দিতে পারে তাই এই নির্বাচনী কেন্দ্র খোলা হল৷ এখান থেকেই আমরা পুরভোটের যাবতীয় কার্যকলাপ সারব৷’’ এদিন মন্ত্রী থেকে বিধায়ক একের পর এক তৃণমূল নেতৃত্বরা বক্তব্য রাখেন। অধিকারী পুরসভা থেকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দেওয়ার বার্তা দেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা এগরা বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি, পটাশপুরে বিধায়ক উত্তম বারিক ও কাঁথি পুরসভার প্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারী, দেবাশীষ পাহাড়ি ও বিশ্বজিৎ মাইতি সহ অন্যান্যরা।