ক্রমাগত চিন্তা বাড়ছে দেশের ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে। করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ বেড়েছে ভারতবর্ষে। সম্প্রতি আবার কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে ইতিমধ্যে আরো ২৫ জন এই নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ওমিক্রন নিয়ে। তবে আদতে এই নতুন প্রজাতি কতটা উদ্বেগের বা আতঙ্কের আদৌ কারণ আছে? এই প্রশ্নের উত্তর বিবৃতি দিয়ে কার্যত জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের বক্তব্য, আপাতত দেশে যে কজন এই নতুন প্রজাতির ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সবাই সুস্থ আছেন এবং তাদের মৃত উপসর্গ দেখা গিয়েছে। কেউই বিপদের মধ্যে নেই এবং স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগারওয়াল জানান, আপাতত ভারতে যে কজন ওমিক্রনে আক্রান্ত তাদের কারুর গুরুতর উপসর্গ নেই শরীরে। অতএব এই মুহূর্তে এই নতুন প্রজাতি নিয়ে বিরাট ভয়ের কোন কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে এই ভাইরাস ডেল্টার থেকে বেশি সংক্রামক হলেও এতটা ভয়ের কোন কারণ নেই। ইতিমধ্যেই ভারত সহ একাধিক দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। প্রত্যেক দেশেই উপসর্গ ভিত্তিক গবেষণা করা হচ্ছে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে যে এই নতুন প্রজাতির কতটা ক্ষতিকারক হতে পারে পরবর্তী কয়েক মাসের মধ্যে।
উল্লেখ্য, এই নতুন প্রজাতির আতঙ্কের মাঝেই কলকাতা বিমানবন্দরে ব্রিটেনের ফেরত যাত্রী ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। আসলে কেন্দ্রীয় সরকার অনেক আগে থেকেই আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রীদের ওপর নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে এবং তার প্রেক্ষিতে কড়াকড়ি করছে রাজ্যগুলি। বিমানযাত্রীরদের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ডবল ডোজ বা নেগেটিভ আর্টিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।