করোনা সংক্রমনের ভাইরাস নিয়ে একের পর এক গবেষণা চলছে বিশ্ব জুড়ে৷ করোনা আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না৷ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই চোখ রাঙাচ্ছে নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন৷ এরই মধ্যে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য৷ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা ভাইরাসকে রুখে দিতে পারে চিউয়িং গাম৷ লালরসে আটকে শরীরে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে দেয় না এটি। সম্প্রতি এই গবেষণাপত্রটি একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘মলিকিউলার থেরাপি’-তে প্রকাশিত হয়েছে৷
গবেষণা অনুযায়ী, আলফা, বিটা, ডেল্টা-সহ করোনাভাইরাসের প্রতিটি ভ্যারিয়েন্টকেই লালারসের মধ্যে আটকে দিতে সক্ষম চিউয়িং গাম। তবে করোনার নয়া রূপ ওমিক্রন-কেও লালারসে আটকে রাখা সম্ভব কি না, তা এখনও পর্যন্ত গবেষণা করে ওঠার সুযোগ পাননি বিজ্ঞানীরা৷ এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির লালারসে প্রচুর পরিমাণে সার্স-কোভ-২ ভাইরাস থাকে। ফলে চিউয়িং গাম মুখের মধ্যেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম কি না, তা নিয়ে মার্কিন বিজ্ঞানীদের মধ্যে একটা কৌতূহল তৈরি হয়েছিল৷ সেই কৌতুহল নিরসনেই শুরু হয় গবেষণা৷
মুখের অভ্যন্তরের স্বাস্থের জন্য চিউয়িং গাম যে অত্যন্ত উপকারী, তা সকলেরই জানা৷ চিউয়িং গামে থাকে ক্যালসিয়াম ও বাইকার্বনেটের মতো পদার্থ৷ যা মুখের ভিতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমায়৷ কিন্তু চিউয়িং গাম মুখের ভিতর করোনা ভাইরাসকে রুখতে সক্ষম কিনা, এর আগে সেই গবেষণা হয়নি৷ গবেষকরা যে চিউয়িং গামটি বানিয়েছেন তাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এসিই-২ রিসেপ্টর প্রোটিন৷ কেন এই প্রোটিন নেওয়া হল?
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মানব শরীর প্রবেশ করে সংক্রমণের ঠিক আগে এই প্রোটিনের উপরেই এসে বসে সার্স-কোভ-২ ভাইরাস। মানব শরীরে কিছু কোষের উপরে এই প্রোটিন থাকে। চিউয়িং গামে এসিই-২ রিসেপ্টর প্রোটিন মিশিয়ে গবেষকরা চেয়েছিলেন করোনা ভাইরাসকে মুখেই আটকে রাখতে। যাতে সেটা শরীরের কোষে ঢুকতে না পারে৷ পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে চিউয়িং গামে এই প্রোটিন মেশানো থাকলে তা মুখের ভিতর লালারসে করোনাভাইরাসকে আটকে রাখতে অনেক বেশি সক্ষম৷