রাজ্যের তরফে পূর্ব ঘোষিত পুরসভা ভোটের সময়কে সম্মতি জানিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশন ঠিক করে নিয়েছে যে আগামী মাসের ১৯ তারিখ কলকাতা এবং হাওড়া পুরভোট। এরই মাঝে ৬ বছরের সিদ্ধান্ত বদলে নিতে চলেছে নবান্ন। ফের হাওড়া পুরসভা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে বালি পুরসভাকে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা। অর্থাৎ হাওড়া থেকে ফের একবার আলাদা হয়ে যাচ্ছে বালি।
প্রথম দফায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়া পুরসভা এবং বালি পুরসভার সংযুক্তিকরণ করেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি এবং ক্ষোভ জমতে থাকে বালির বাসিন্দাদের মধ্যে। শেষ লোকসভা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়েছিল কারণ সেখানে অধিকাংশ ওয়ার্ডে হেরে গেছিল শাসক শিবির। তাই এবার সেই সিদ্ধান্তের বদল করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আরো একটি বিষয় হল, হাওড়া পুরসভার সঙ্গে বালিকে যুক্ত করার পরে বালি পুরভবনে একটি দপ্তর স্থাপন করা হয়েছিল কিন্তু সেখানে কোনও চেয়ারম্যান ছিলেন না।
তাই কাজে ব্যাঘাত হচ্ছিল বৈকি, সেই নিয়ে আবার স্থানীয় বাসিন্দাদের বিস্তর অভিযোগ ছিল। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে পুনরায় হাওড়া থেকে বালিকে আলাদা করে দেওয়ার ভাবনা চিন্তা করেছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, আগামী মাসে হাওড়া পুরসভা নির্বাচন রয়েছে। কিন্তু বালি এলাকায় ১৬ টি ওয়ার্ডে এই দফায় ভোট হবে না।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রস্তাব মেনেই কলকাতা ও হাওড়া পুরসভায় ১৯ ডিসেম্বর ভোট হচ্ছে৷ বিরোধীরা একসঙ্গে ভোট এবং একসঙ্গে গণনার দাবি জানালেও আপাতত কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ড এবং বালি বাদ দিয়ে হাওড়ার ৫০টি ওয়ার্ডে ভোট হবে৷ আগামী সপ্তাহেই কলকাতা ও হাওড়ার জেলাশাসকের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক হওয়ার কথা৷ ২৫ নভেম্বর এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে৷ জানা গিয়েছে, সরকারি চাইছে না এখনই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি বন্ধ হোক৷ তাই বিধি মেনে আগামী ২৫ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷