আচমকাই খুনের হুমকি এলো তাঁর নামে৷ স্পিডপোস্টে একটি চিঠি এসে পৌঁছয় রাজ্যের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে৷ ওই চিঠিটি আসে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তীর নামে৷ প্রসঙ্গত, সোনালি চত্রবর্তী আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য৷ সংক্ষিপ্ত ওই চিঠিতে লেখা হয়, ‘‘আপনার স্বামী নিহত হবেন৷ কেই তাঁকে বাঁচাতে পারবে না৷’’
ওই চিঠির নীচে রয়েছে জনৈক গৌরহরি মিশ্রের সাক্ষর৷ কেয়ার অব মহুয়া ঘোষ৷ মনে করা হচ্ছে সম্ভবত তিনি রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের কেমিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের সঙ্গে যুক্ত৷ এই চিঠির একটি প্রতিলিপি রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের সেক্রেটারির কাছে পাঠানো হয়েছে৷ রাজ্য সরকারকেও এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ চিঠিটি আপাতত পুলিশের হেফাজতে৷ যদিও এই হুমকি চিঠি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে এই ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ কে এই চিঠি পাঠাল, কেই বা এই গৌরহরি মিশ্র, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে৷
অন্যদিকে, সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চের (দিল্লি) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়। আলাপন বন্দোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলা গত ২২ অক্টোবর সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দিল্লিতে অবস্থিত প্রিন্সিপাল বেঞ্চে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রিন্সিপাল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আলাপন বন্দোপাধ্যায়। আজ শুনানির সম্ভবনা।