সবজি কিনতে গিয়ে নাভিঃশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তদের। বাজারে গিয়ে কার্যত সামান্য পরিমাণ সবজি কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদের। কারণ, ঢ্যাঁরসও বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০ টাকা! পিফা ৫০ টাকা! বেগুন ১২০ টাকা! মাছ থেকে ফল বাজারের হালও তথৈবচ! কেন বাজারে আগুন ছুটছে, কি তার কারণ- সেটা জানতেই এবার সকালে একাধিক মার্কেটে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের আধিকারিকরা৷ কথা বললেন, ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে৷ বোঝার চেষ্টা করলেন, অগ্নিমূল্যের প্রধান কারণ কী?
আচমকায় এদিন সকালে বিভিন্ন মার্কেটে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা৷ ইবি সূত্রের খবর, কালোবাজারি রুখতেই এই হানা৷ এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর সেখ হাবিবুল হাসান বলেন, ‘‘এখন থেকে নিয়মিত বিভিন্ন বাজারে তল্লাশি চালানো হবে৷ কালোবাজারি যাতে না হয়, তাই এই উদ্যোগ৷’’ সল্টলেকের বিভিন্ন বাজারে ঢুকে সবজি, ফল, মাছ এবং মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা। জানতে চান দাম৷ বিভিন্ন মার্কেটে খুচরো বিক্রেতারা কোথা থেকে মাল কিনছেন, কত দামে কিনছেন এবং খুচরো বিক্রেতারা জিনিসপত্র কত টাকায় বিক্রি করছেন সমস্ত কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা৷ ক্রেতাদের সঙ্গেও কথা বলে তাঁরা৷
ইবি আধিকারিকদের ব্যবসায়ীরা জানান, সাম্প্রতিক অতি বৃষ্টির জেরে বহু ফসল মাঠেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ ফলে বাজারে ঠিক মতো জোগান নেই৷ এদিকে চাহিদা রয়েছে৷ অন্যদিকে লাগাম ছাড়া জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি৷ এই দুই কারণেই বাজারে দাম বৃদ্ধি বলে আধিকারিকদের জানান বিক্রেতারা৷