নতুন সরকার গঠিত হলে বর্তমানে প্রশ্ন উঠেছে সৌদি আরবের পরিস্থিতি নিয়ে। আফগানিস্তানের দৃশ্যপট থেকে আচমকা উধাও সৌদি আরব। কিন্তু সেই দেশ কেন একসময় তালিবান ছিল সৌদির মিত্র শক্তি। ইসলামিক দুনিয়ায় কি সৌদি আরবের গুরুত্ব কমেছে? নাকি, এ এক অন্যরকম সমীকরণ। ইচ্ছা করেই নিজেদের দৃশ্যপট থেকে উধাও করে রেখেছে সৌদি সম্রাজ্য? কিছুটা ইতিহাস অনেকেরই জানা। কিছুটা পর্দার আড়ালে।
এর শুরু ১৯৮০। সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চলছে। আফগানিস্তানে তালিবানদের আর্থিক সাহায্য করেছিল সৌদি প্রশাসন। ১৯৯৬। আফগান গৃহযুদ্ধে জিতে সরকার গঠন করে তালিবানরা। মাত্র যে তিনটি দেশ সেই সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল তাদের মধ্যে একটি হল সৌদি আরব। সেই সরকারকে তারা আর্থিক সাহায্যও করেছিল। বর্তমানে আফগানিস্তানে কোথায় সেই তালিবান? আশ্চর্যের বিষয়, কাবুলে বন্ধ সৌদি দূতাবাস।
পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমেরিকার মিত্র সৌদি আরব। সঙ্গে আছে সংযুক্ত আরব আমিরসাহিও। ভারতের নীতিও এক। তালিবানরা যতক্ষন আফগানিস্তানের আম জনতার অধিকার সুরক্ষিত করছে, নারীদের অধিকার সুরক্ষিত করছে, এই সরকারকে স্বীকৃত দেওয়ার কথা ভাবা হবে না। সৌদি-তালিবান সম্পর্কের ভাঙনের শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। আল-কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতা ওসামা বিন লাদেন আশ্রয় নেন আফগানিস্তানে। সৌদি আরব আফগানিস্তানকে বলে লাদেনকে আটক করে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। সে দাবি অগ্রাহ্য করে সে সময়কার তালিবান সরকার। এরপর ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকায় ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর তালিবান-সৌদি সম্পর্ক হিমঘরে চলে যায়।