মহিলাদের ওপর কোনো রকম অত্যাচার সহ্য করবেনা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনি নিজেও একজন মহিলা, তাই এবার মহিলাদের সুরক্ষার জন্য নতুন নিয়ম কানুন চালু করলেন। রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)-কে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, রাজনীতির রং না-দেখেই এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এদিন তিনি বলেন, ‘তফশিলি, আদিবাসী মা–বোনেদের উপর অত্যাচার হলে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকেও নজর দিতে হবে।‘রাজ্যের ডিজি বীরেন্দ্রকে তিনি নির্দেশ দেন, ‘কোনও অ্যাট্রেসিটিস হলে, এনকোয়ারি করে যদি দেখেন এটা সত্যি তাহলে স্ট্রং অ্যাকশন নেবেন। কাউকে বাঁচানোর কোনও ব্যাপার নেই।’
নবান্নে সিডিউল কাস্ট অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তাঁর অনুরোধে মুখ্যমন্ত্রী বলাগড়ে দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির শাখা করারও নির্দেশ দেন। সাঁওতালি, লেপচা, গোর্খা অ্যাকাডেমি মুখ্যমন্ত্রীর অনেকগুলি বই অনুবাদ করেছে। নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বর মাসে রাজ্যে দলিত সাহিত্য সম্মেলন করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার খরচও দেবে রাজ্য সরকার। সেখানে প্রতিটি রাজ্য থেকে ৫ জন করে দলিত সাহিত্যিককে আমন্ত্রণ করার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের পরে খুন, ধর্ষণ-সহ হিংসার বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জাতীয় মহিলা কমিশন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্যে এসেছিল।
প্রশাসনিক কর্তাদের বক্তব্য, ভোটের পরে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হলেও কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেননি। তাই সেই সব অভিযোগের সত্যতা নিয়ে সরকারের অন্দরে প্রশ্ন উঠছে। যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই তৃণমূলের কর্মী বা সমর্থক। এর বেশির ভাগই ভোটের আগেকার বা ভোটের সময়কার ঘটনা। কিছু ঘটনা ভোটের পরে ঘটলেও সেগুলি ৫ মে অর্থাৎ তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতার শপথগ্রহণের আগেকার। সরকারের বক্তব্য, যখন ওই সব ঘটনা ঘটেছে, তখন প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। নতুন সরকার প্রশাসনের রাশ গ্রহণ করার পরে আর কোনও ঘটনা ঘটেনি।