শুরু হলো আফগান মহিলাদের যন্ত্রনার জীবন

তালিবান ফিরতেই শুরু হয়েছে আতঙ্কের সময়। বার বার প্রশ্ন উঠেছিল মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে। দীর্ঘ কুড়ি বছর পর পুনরায় একই জায়গায় ফিরতে চলেছে আফগান মহিলাদের জীবন। মহিলাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একাধিক নিয়মবিধি জারি করেছে তারা যা দেখে সকলেরই মনে হচ্ছে যে সেই পুরনো দিনের অন্ধকার যুগ ফিরে এসেছে আফগানিস্তানি মহিলাদের জন্য। এবার ফের একবার ফতোয়া জারি করা হলো তালিবানের তরফে। মহিলাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা বাড়িতেই থাকে! কাজে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কর্মরত আফগানি মহিলাদের এমনই নিদান দিল তালিবান।

আফগানভূমে নতুন করে তালিবানি শাসন শুরু হলে মহিলাদের জীবন ‘নরক যন্ত্রণা’ নেমে আসবে। আগেভাগেই এমন আতঙ্কে শিউরে উঠেছিলেন তাঁরা। নারী স্বাধীনতা বলে কিছুই থাকবে না। বাড়ির বাইরে পা রাখা থেকে কাজ করা, সবেতেই জারি হবে কড়া নিষেধাজ্ঞা। যদিও সেই জল্পনার মাঝেই খানিকটা অবাক করেই তালিবান ঘোষণা করেছিল, মহিলাদের শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার দিকে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। উচ্চশিক্ষা কিংবা চাকরি ক্ষেত্রেও বাধার সম্মুখীন হতে হবে না তাঁদের। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই শোনা গেল উলটো সুর। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে তালিবান যা বলছে সেটা কখনোই বাস্তব রূপ নেবে না। কর্মক্ষেত্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে মহিলাদের। তালিবানের স্পষ্ট কথা, মহিলাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা যেন বাড়িতেই থাকে।

তবে তালিবানের দাবি, এই নিদান সাময়িক। বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিচার করে মহিলাদের নিরাপত্তার খাতিরেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ মঙ্গলবার বলেন, দেশে যতদিন না নিরাপত্তা সন্তোষজনক হচ্ছে, ততদিন মহিলাদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। মহিলা সরকারি কর্মীরা যাতে নিশ্চিন্তে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারেন, তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। তবে আপাতত তাদের বাড়িতে থাকতেই বলা হয়েছে। সঙ্গে তিনি এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শরিয়তি আইনে মহিলাদের চাকরি করতে কিংবা বাড়ির বাইরে গিয়ে কাজ করতে কোনও বাধা নেই। আর সেই কারণেই মহিলা কর্মীদের আটকানো হবে না। কিন্তু তাঁদের আশ্বাস কতখানি বিশ্বাসযোগ্য, তা নিয়ে সন্দিহান আফগানি মহিলারাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *