আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রোধে চলছে কড়া বিধিনিষেধ। তারই সুফল মিলছে ধীরে ধীরে। রাজ্যে বেশ কিছুটা আয়ত্তে এসেছে করোনা পরিস্থিতি। তাই এবার দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হল ভক্তদের। আজ বুধবার সকাল থেকে তৃতীয় বারের জন্য খুলল বেলুড়মঠ। সব রকম নিয়ম মেনে প্রত্যেক দর্শনার্থী মঠের ভিতরে যাওয়ার অনুমতি পাবেন। বেলুড় মঠে প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রত্যেককে কোভিড ভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ নেওয়ার শংসাপত্র অথবা ৭২ ঘন্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে মঠে প্রবেশ করতে। এদিকে, এদিন থেকেই খুলছে ভিক্টোরিয়া, নিকো পার্কের দরজাও।
সকাল এবং বিকেলে দুই ধাপে বেলুড় মঠে প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা। সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং বিকেল ৪টে থেকে পৌনে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মঠের দরজা। তবে বেলুড় মঠে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়া নিয়মবিধি মানতে হবে ভক্তদের। প্রত্যেকের কাছে থাকতে হবে কোভিড ভ্যাকসিনেশনের জোড়া ডোজের সার্টিফিকেট কিংবা আরটি পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট। তবে ৭২ ঘণ্টার আগের রিপোর্ট গ্রাহ্য হবে না। এছাড়াও বেলুড় মঠে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রয়োজন সচিত্র পরিচয়পত্র। অন্যথায় দর্শনার্থীদের বেলুড় মঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
গত বছর কোভিডে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করলে ২৫ মার্চ ২০২০ প্রথম বন্ধ করা হয় বেলুড়মঠ। এরপর ১৫ জুন ২০২০ থেকে কিছুদিনের জন্য মঠের দরজা খোলা ছিল। ১ অগাস্ট ২০২০ ফের বন্ধ হয়ে যায় মঠ। আবার বেলুড় মঠ খোলা হয় ১০ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে ২২ এপ্রিল ২০২১ থেকে ফের বন্ধ করা হয় মঠ। এরপর গুরু পূর্ণিমার দিন একদিনের জন্য ২৪ শে জুলাই একদিনের জন্য বেলুড় মঠ খোলা হয়েছিল। এদিকে, যাবতীয় কোভিডবিধি মেনে বুধবার থেকে খুলছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এবং নিকোপার্কের দরজাও।
অন্যদিকে, সোমবার থেকেই খুলে গিয়েছে এমপি বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম। সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে দিনে সাতটির পরিবর্তে চারটি এবং সপ্তাহান্তে ও ছুটির দিনে নটির পরিবর্তে পাঁচটি করে প্রদর্শনী হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে খুলে গিয়েছে জাদুঘর, সায়েন্স সিটি এবং ইকো পার্ক। সেভাবে ভিড় না থাকলেও ২০০-২৫০ দর্শক জাদুঘরে এসেছিলেন।