দীর্ঘ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটলো৷ বড়সড় ভাঙ্গন হলো কংগ্রেসের ঘরে৷ ধাক্কা খেলো হাত শিবির। কোনো রকম ইঙ্গিত ছাড়াই কংগ্রেস ছাড়লেন দলের প্রাক্তন চার বারের সাংসদ তথা মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুস্মিতা দেব। দল ছাড়লেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী সাংসদ সুস্মিতা দেব৷ রবিবার কংগ্রেসের অন্তরবর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠি লিখে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়ার কথা জানান সুস্মিতা দেব৷ তবে, দল ছাড়ার কোনও কারণ চিঠিতে উল্লেখ করেননি তিনি৷ অসমের শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দল ছাড়ার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি এ বার তৃণমূলে যোগ দেবেন তিনি। তৈরি হয়েছে জল্পনা। জানা গিয়েছে যে বর্তমানে সুস্মিতা কলকাতা রয়েছেন।
অনুপ্রেরণা অবশ্যই প্রয়াত বাবা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেব। বাবাকে দেখেই কংগ্রেসি ঘরানার প্রতি আগ্রহ এবং সক্রিয় সদস্য হিসেবে যোগদান। ২০১৪ সালে শিলচর থেকে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি৷ দলের সাংসদ, মুখপাত্র, মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি – একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। দলের প্রতি একনিষ্ঠ নেত্রী সুস্মিতা দেব এবার দীর্ঘ ৩০ বছরের সম্পর্ক ছেদ করলেন কংগ্রেসের সঙ্গে। ছিলেন রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ট৷
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে নিজের পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন সুস্মিতা। সনিয়াকে লেখা চিঠিতে সুস্মিতা বলেন, ‘জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে তিন দশকের সম্পর্ক শেষ করছি। আমার পাশে থাকার জন্য সতীর্থ ও দলের নেতা-মন্ত্রীদের ধন্যবাদ। তিন দশকের স্মৃতি আমি সারা জীবন মনে রাখব।’ এ ছাড়া পথ প্রদর্শন ও সহযোগিতার জন্য সনিয়াকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুস্মিতা। তবে কি রাজনৈতিক কেরিয়ারে ইতি টানছেন সুস্মিতা দেব নাকি শুরু করবেন নতুন কোনও ইনিংস? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে।