দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলে ওঠার কিছু মাসের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ ওঠার আশঙ্কা চারদিকে। এই তৃতীয় ঢেউয়ে বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের টিকাকরণেই সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে। তাই মারণ ভাইরাস থেকে শিশুদের সুরক্ষিত তাই সেপ্টেম্বর থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে এইমস। একথা জানান, এইমস -এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানান, ডাইডাস ক্যাডিলা ইতিম্যেই ট্রায়াল শেষ করেছে এবং তারা জরুরিভিত্তিতে ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করছে। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি ফাইজার ও জাইডাস ভ্যাকসিনও ১২-১৮ বছর বয়সিদের জন্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিছুদিন আগেই দ্য ল্যানসেটে গবেষণায় জানা যায়, ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে ১৮ থেকে ৩০ শতাংশ। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এইমস -এর ডিরেক্টর জানান, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্কুল খুললে তারা যদি সেখান থেকে করোনায় আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে তাদের শরীরে হয়তো করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা যাবে। কিন্তু বাড়িতে এসে তারা সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে দাদু-ঠাকুমাকে, যা তাঁদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। প্রসঙ্গত, শীতকালে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট থাবা বসাতে পারে, গোটা বিশ্বকে এমনই সতর্কবার্তা দিলেন ফ্রান্সের গবেষক।