মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছেন পড়ুয়াদের জন্য ক্রেডিট কার্ড চালু করবেন। বুধবার নবান্নে এর সাংবাদিক বৈঠক করে সূচনা করেন তিনি। দারিদ্র্যের কারণে যাঁদের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম, যাঁরা নির্বিঘ্নে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে চান, বিদেশে লেখাপড়ার স্বপ্ন যাঁদের—এমন সব শিক্ষার্থীর জন্য সুযোগের দরজা খুলে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্রেডিট কার্ডে স্নাতক , স্নাতকোত্তর , ডিপ্লোমা, এমফিল, ডক্টরেট পড়ার পাশাপাশি আইএএস ,আইপিএস , সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় যোগদানের জন্য প্রস্তুতি নিতেও ঋণ পাবেন পড়ুয়ারা। এর জন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে। তিনি আরও বলেছেন ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেবে এবং তার বয়স সীমা হবে ৪০ বছর। ১৫ বছর ধরে তা পরিশোধ করা যাবে। আর এর গ্যারান্টার হিসেবে থাকবে রাজ্য সরকার। আর এই ক্রেডিট কার্ড চালু করতে গিয়ে তিনি অভয় বাণী দিয়েছেন, ‘উচ্চশিক্ষার ইচ্ছুক পড়ুয়াদের টাকার অভাবে মাঝপথে পড়াশোনা বন্ধ করতে হবে না।’ এক্ষেত্রে কোনওরকম দুর্নীতি বা জালিয়াতি তিনি বরদাশ্ত করবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
কোর্স চলাকালীন যেকোনো সময় পড়ুয়ারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন , এর ফলে অভিভাবকরা কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তামুক্ত হবেন। তবে জালিয়াতির রুখতেও বেশ সতর্ক তিনি । তাই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শিক্ষা সচিব মনীশ জৈনকে বিষয়টিতে নজর রাখতে বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন জালিয়াতি ফাঁদে না পড়ে সরাসরি www.wb.gov.in এবং wbssc.gov.in ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। প্রয়োজনে ১৮০০১০২৮০১৪ টোল ফ্রি নাম্বারে ফোন করতে পারবেন আগ্রহীরা। শুধু কোর্স ফি নয়, ল্যাপটপ বা অন্যান্য খরচ ও বহন করতে এই ঋণ সাহায্য করবে। মুখ্যমন্ত্রী চান আদিবাসী বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবার থেকে উঠে আসুক আইএএস, আইপিএসরা। তাই ১০০ জন পরিবারকে বিনামুল্যে বৃত্তি সহ বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেবে সরকার।