সিবিআই: রোজভ্যালির অর্থ প্রতারণার মামলায় নতুন করে শুরু হবে তদন্ত

শুরু হলো নতুন করে তদন্ত, সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ( সিবিআই ) হতে রোজভ্যালির বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সিবিআই একাধিকবার তদন্ত করার পর গত সপ্তাহে দক্ষিণ ত্রিপুরার রাজধানী গোমতী জেলা ও সেসন জজ এর কাছে রোজভ্যালির বিরুদ্ধে একটি রিপোর্ট দায়ের করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন গৌতম কুন্ডু, রোজভ্যালির প্রাক্তন ডাইরেক্টর শিবময় দত্ত, অশোক কুমার সাহা এবং রামলাল গোস্বামী প্রমূখ।

রোজভ্যালি চিটফান্ড এর মাধ্যমে ত্রিপুরাতে মোট ৩২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। শুধু ত্রিপুরা নয় অন্যান্য মহকুমা শহরগুলোতেও জনগণকে ৩০ শতাংশ সুদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েকশো কোটি টাকা বেশকিছু দালাল নিজেরাই আত্মসাৎ করেন। সে সময় ত্রিপুরা কছু হতে প্রকাশিত একটি পত্রিকার সাৎ মালিক নাম সুবল কুমার দে। প্রায়ই কলকাতায় রোজভ্যালী অফিসে গিয়ে গৌতম কুন্ডুর সাথে দেখা করে বিজ্ঞাপন আদায় করতো এবং পরবর্তী সময়ে তার ছেলের স্ত্রী সহ পত্রিকা অফিসের একজন কর্মীকেও আগরতলায় রোজভ্যালি অফিসে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো। ঐ সুবল কুমার দে তার পত্রিকায় ব্যাপকভাবে রোজভ্যালির প্রশংসা করতো যাতে শুধুমাত্র ত্রিপুরাবাসী রোজভ্যালীতে তাদের উপার্জন করা টাকা রেখে লাভবান হয়। এরপর অনেক ঘটনাই ঘটে গেছে। নিজের স্বার্থে আঘাত লাগার টাকা জমা পর ঐ সুবল দে তার পত্রিকায় রোজই রোজভ্যালীর বিরুদ্ধে ব্যাপারে নোংরা খবর প্রকাশ করে যাচ্ছিলো।

এর পর ২০১৩ সালেই ঐ সাংবাদিক নামধারী সুবল দে রোজভ্যালীর মালিক গৌতমকুন্ডুর হাতে পায়ে ধরে মোট ৮০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। কিন্তু টাকা ফেরতও দেওয়া হয়নি গত সাত বছরে ওই সুবল কলকাতা সিবিআই অফিস এ মোট ১৫-২০ বার হাজির হয়ে তদন্তকারী অফিসার এর কাছে তার বক্তব্য রেখেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি সিবিআই। গত সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে সিবিআই অফিসার, রোজভ্যালির মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য খুব শীঘ্রই ওই নামধারী প্রতারক সাংবাদিক সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সিবিআই হতে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *