সপ্তমী থেকে দশমী, চারদিনে পূজো শেষ। সাহুনদীর পা ভেজানো জলে ভাসা সারিসারি কাঠামো সরানোর কাজে নামলো প্রশাসন। দশমীর পরেও পূজোর আনন্দে ভাটা পড়েনি। ত্রয়োদশীতেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চললো প্রতিমা নিরঞ্জন। এবার শিলিগুড়ির মহানন্দা নদীতে দূষণ রোধে তৎপর প্রশাসন। ফুল সহ পূজোর সামগ্রী যেমন সরাসরি নদীতে ফেলতে দেওয়া হয়নি। তেমনই প্রতিমা নিরঞ্জনের পর সঙ্গে সঙ্গে জল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে কাঠামো। এমনকি বিসর্জন শেষেও কাঠামো থেকে শুরু করে কোনো রকমের সামগ্রী নদীতে পড়ে রয়েছে কি না, তাও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে এসজেডিএর সাফাই কর্মীরা।
পাশাপাশি হোস পাইপের সাহায্যে নদীর জলের মধ্যেই প্রতিমা গলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঠিক একই ছবি ধরা পড়লো শিলিগুড়ি শহরের অদূরে ডাবগ্রাম ২ নং অঞ্চলের বৈকুণ্ঠপুর ফরেস্ট লাগোয়া সাহুনদীর থারুঘাটিতে।
প্রতিবছরের মতো চলতি বছরেও বহু ক্লাব প্রতিমা বিসর্জন করেছেন এই নিরঞ্জন ঘাটে। বাদ যায়নি বাড়ির পূজোগুলোও। মূলত শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ভক্তিনগর থানার অন্তর্গত বেশিরভাগ পূজো মন্ডপ এবং বাড়ির পূজোর প্রতিমাগুলো নিরঞ্জনের জন্য বাছাই করা হয়েছে সাহুনদীর থারুঘাটকে। প্রায় ১৫০টির মতো প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে এই ঘাটে। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে টানা তিনদিন ধরে মাইক বাজিয়ে, নেচে গেয়ে বিসর্জন হলেও, বর্তমানে গোড়ালি ভেজা টলটলে জলে ভাসছিল একের পর এক কাঠামো। নদীর এই জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে তৎপর হয় প্রশাসন। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ভক্তিনগর থানার আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ, বৈকুণ্ঠপুর ফরেস্ট রেঞ্জের রেঞ্জারের তত্ত্বাবধানে এবং থারুঘাটি কমিটির সহযোগিতায় জেসিবি নামিয়ে ঘাট পরিষ্কার করার কাজে নেমেছে সাফাই কর্মীরা।