শিলিগুড়িতে নিউ রুটস হেয়ার ক্লিনিকের উদ্বোধন

চুল পড়া বা চুল উঠে যাওয়ায় বর্তমানে এক বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন হেয়ার এক্সপার্টদের মতামত সত্ত্বেও মাথায় টাক পড়া আটকানো যাচ্ছেনা। ব্যাপার হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের মতামত বা মেডিসিন চুল পড়ার সমস্যা বন্ধ করতে পারে। কিন্তু এইসব মেডিসিন নতুন চুল গজাতে সাহায্যে করেনা। তারওপর পলিউশনের কারণে এই সমস্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা চুল প্রতিস্থাপন চিকিৎসা। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হল শিলিগুড়িতে এখনো পর্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত কোন হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট ক্লিনিক নেই, যাতে মানুষ টাক পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই কথা মাথায় রেখে শিলিগুড়ির সেভোক রোডস্থিত সিটি মলের  ফাস্ট ফ্লোরে খুলতে চলেছে নিউ রুটস হেয়ার ক্লিনিক। উল্লেখ্য, এই হেয়ার ক্লিনিকের গ্র্যান্ড ওপেনিং হবে ৫ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ।

এই হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে নূন্যতম অস্ত্রোপ্রচারের মাধ্যমে মাথার পিছনের অংশ থেকে গ্রাফ্ট সংগ্রহ করে যেখানে টাক আছে সেই অংশে লাগানো হয়। এই প্রতিস্থাপিত চুল স্থায়ী হয় এবং তা স্বাভাবিক চুলের মতই বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয় স্বাভাবিক চুলের মতই এই চুলেও যেমন বিভিন্ন হেয়ার কাট ও স্টাইল করা যাবে তেমনি পছন্দ অনুযায়ী হেয়ার কালারও করা যাবে।

এই নিউ রুটস হেয়ার ক্লিনিকে পেশাদার শল্যচিকিৎসক দ্বারা বিশ্বমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা চুল প্রতিস্থাপন করা হয়। টাক পড়ার পারিবারিক ইতিহাস যতই জেনেটিক হোক না কেন, সমস্যার মূলে গিয়ে তা সমাধান করার দক্ষতা রয়েছে নিউ রুটস হেয়ার ক্লিনিকের চিকিৎসকদের। বলাবাহু্ল্য, এখানে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী এমনকি প্রয়োজনে একাধিকবার পরীক্ষার পর হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টের চিকিৎসা শুরু হয়। শুধু তাই নয় অপারেশনের আগে এই রুটস হেয়ার ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞরা একটি নির্দেশিকা প্রদান করবে যা এই হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টের খরচকে অনেকখানি কমাতে সাহায্য করবে। সর্বপরি এই নিউ রুটস হেয়ার ক্লিনিক সর্ম্পকে একটা কথাই বলা যায় যে, এখানে বিশেষজ্ঞদের দল দ্বারা পরিচালিত হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টের পদ্ধতিটি একশো শতাংশ নিরাপদ। অপারেশনের সময় লোকাল অ্যানেস্থেশিয়ার মাধ্যমে সমগ্র প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *