শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে রোগী সাথে দেখা করতে না দেওয়ায় হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীর গায়ে হাত। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে করোণা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেইভাবেই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নির্ধারিত সময়ে রোগীর পরিবার না আশায় সময়সীমা পার হবার পরেই রোগীর পরিবার রোগীর সাথে দেখা করতে আসলে সেই সময় বাধা দেয় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী ।রোগীর পরিবার জোরজবস্তি করে রোগীর সাথে দেখা করতে যান ।সেই সময় নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিতে গেলে রোগীর পরিবার চরাও হয় নিরাপত্তারক্ষীর উপর। এর পড়ে রোগীর পরিবার ও নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। এরপরে পুলিশ এসে পুরো ঘটনাটা সামলে নেন। রোগীর পরিবারের এক সদস্য বলেন তার শশুর মশাই পা পিছলে পড়ে যান, এতে তার মাথায় চোট পায়, এর পরে তার শ্বশুর মশাই কে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে, তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে চিকিৎসকরা ভর্তি হতে বলেন। এরপর তার পরিবার তার শ্বশুর মশাই কে ভর্তি করে বাড়ি চলে যান। এর পরেই রাতেই অসুস্থরোগী শ্বশুরমশাই ফোন করে তার পরিবারকে, তার শ্বশুরমশাই মশাই এর ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে তার পরিবার । অসুস্থ শ্বশুর মশাই কে দেখতে গেলে বাধা দেয় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা। রুগীর পরিবারর বলেন নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন ও অকথ্য ভাষায় কথা বলেন, সেই সময় নিরাপত্তায় থাকা মহিলা ও পুরুষ নিরাপত্তা রক্ষীরা রোগীর পরিবারের গায়ে হাত তোলেন এবং বাজে মন্তব্য করেন। রোগীর পরিবার আর ও বলেন মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর স্বামী সেই সময় আসেন এবং তাদের কে বাজে ভাষার মন্তব্য প্রয়োগ করেন। অপরদিকে মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী তিনি বলেন রোগীর পরিবার সময় থাকাকালীন খাবার না নিয়ে এসে নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরে খাবার নিয়ে আসে। রোগীর পরিবারের তিনজন মিলে খাবার রোগীকে দিয়ে আসতে চান,। সেই সময় রোগীর পরিবারকে বাধা দিতে গেলে, তারা জোরজবস্তি করে, এবং পুরুষ একজন নিরাপত্তা রক্ষীর গায়ে হাত তোলেন এবং নোংরা ভাষা প্রয়োগ করেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। এরপরে পুরুষ এবং মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর পেটে, মুখে লাথি ঘুষি মারেন। এর ফলে নিরাপত্তা রক্ষী তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে।