রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও মুখোমুখি হলে সৌজন্য বোধে কোনো খামতি রাখেন না দুই বিরোধী দল নেতা

এক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটলো আজকের রাজনীতিতে। রাজনীতির আঙিনায় দুজনে রয়েছেন দুই পক্ষে, একে অপরের বিপরীত মেরুতে। রাজনীতির মঞ্চে একে অপরে বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে বারবার। রাজনীতিতে বিরোধী পক্ষ হলেও মুখোমুখি হলে রসিকতায় কম যান না কেউ কারও থেকে। বেফাঁস মন্তব্য করে বারবার বিতর্কে জড়ায় দুই দলের এই দুই শীর্ষ স্থানীয় নেতা। একজন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অপরজন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তবে এবার বুঝিয়ে দিলেন যে রাজনীতি আর ব্যক্তিগত সম্পর্ক এক নয়। বিধানসভা চত্বরে মুখোমুখি হয়ে সৌজন্য বিনিময় করতেও ভুললেন না কেউ।

দিলীপ ঘোষ আজ এসেছিলেন বিধানসভায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে। বিধানসভার ভেতরে শ্যামাপ্রসাদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করার পর দলের অন্যান্য বিধায়কের সঙ্গে খোশগল্প করছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। হটাৎ ‘গদাই লস্করি’ চালে সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায় মদন মিত্রকে। তাঁকে দেখতে পেয়েই হাত নেড়ে দাঁড় করান দিলীপ ঘোষ।

এদিন একটি বাহারি কালো রঙয়ের পাঞ্জাবি পড়ে বিধানসভায় গিয়েছিলেন তিনি। ওই পাঞ্জাবি চোখে পড়তেই দিলীপবাবু তাঁকে দাঁড় করান। জিজ্ঞেস করেন, “খাসা পাঞ্জাবি পড়েছেন তো। আর ক’পিস এরকম পাঞ্জাবি আছে আপনার?” স্বভাবসিদ্ধ হাসি মুখে মদন জানান, এমন একটাই রয়েছে। পাল্টা হেসে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আপনার দলে তো হিরো বলতেও তো একপিসই আছে, সেটা মদন মিত্র।” দিলীপ ঘোষের কথা শুনে হাসতে থাকেন মদন।

আসলে দুই ভিন্ন দলের নেতা একসঙ্গে বসে আছেন, গল্প করছেন, হাসি-ঠাট্টা করছেন, ক্রমশ এই দৃশ্যগুলো বাংলার রাজনীতি থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। তিক্ত রাজনৈতিক আবহে দুই দলের দুই নেতার হাসিঠাট্টা, রসিকতা আক্ষরিক অর্থেই উপভোগ্য এবং বিরল দৃশ্যও বটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *