লকডাউনের জেরে অনেকটাই কমেছে করোনার সংক্রমণ। যার কারণে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তৈরি হওয়া নতুন করোনা বিভাগে রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। পাশাপাশি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন অনেক রোগী। এর ফলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে কর্তাদের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে ।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, লকডাউনের পর থেকে সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। লালারসের নমুনা সংগ্রহের পর যে পরিমাণ পজিটিভ রিপোর্ট আসছিল, এখন তা অনেকটাই কমেছ, ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস এসেছে। লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে স্যানিটাইজার ও মাক্স ব্যবহার করার জন্য মানুষকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, পাশাপাশি খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বেড়ানো জন্য প্রচার করা হচ্ছে।
এদিকে চাঁচলে করোনা হাসপাতাল চালু হবার পর সোমবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন দুই করোনা রোগী। সম্প্রতি করোনা সংক্রমনের লাগাম টানতে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় নতুন করে কোভিড হাসপাতাল চালু করে রাজ্য সরকার। হাসপাতাল চালুর দুদিন বাদেই করোনা সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হন নয়জন রোগী। যাদের ইতিমধ্যেই তিনজন আগেই ছাড়া পেয়েছেন তারপর আরো দুই জন রোগী সুস্থ হয়ে সোমবার নিজেদের বাড়ি ফিরেছেন।
চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার লায়েক আলি জার্দারি জানিয়েছেন, আমাদের কাছে এটি স্বস্তির খবর, ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকজন করোনা রোগীকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠিয়েছি। বর্তমানে ৬৪ টি শয্যার মধ্যে ৭ টি শয্যায় রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারাও শীঘ্রই সুস্থ হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশাবাদী।
যারা আপাতত ভর্তি রয়েছে তাদের উপসর্গ হিসেবে মাথা ব্যাথা, জ্বর এবং দুর্বলভাব রয়েছে, পাশাপাশি মিশ্রভাবে শ্বাসকষ্ট রয়েছে এবং অক্সিজেন বর্তমানে উপলদ্ধ রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে চিকিৎসকদের তদারকিতে রয়েছে করোনা আক্রান্তরা।
চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, যাদের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে , তারা বাড়িতে না থেকে যাতে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসে সেই প্রচারও স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।