মালদায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে, বিভিন্ন বাজারগুলিতে চলছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান লেখা পোশাক বিক্রির বহর

মালদা, ২৩ মার্চ । “খেলা হবে” এই শ্লোগান এখন শুধু মুখেই নয় , বিভিন্ন ধরনের টি-শার্ট গেঞ্জি , হাফ প্যান্টে যুক্ত হয়েছে । খেলা হবে স্লোগান লেখা গেঞ্জি বাজারে ব্যাপক চাহিদা এনে দিয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। মালদা শহরের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন বাজারগুলিতে চলছে খেলা হবে স্লোগান লেখা গেঞ্জি এবং হাফপ্যান্ট বিক্রির বহর। মালদায় ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল দুই দফায় বিধানসভা নির্বাচন । তার আগে হোলি। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে রংবাহারি গেঞ্জি বিক্রিতে ব্যাপক উৎসাহ দেখাচ্ছেন অনেক ক্রেতারা । আর এই পোশাক বিক্রি করে এখন অনেকটাই লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন খুচরো থেকে পাইকারি পোশাকের দোকানের ব্যবসায়ীরা। তাদের বক্তব্য, গতবছর লকডাউনে একেবারেই সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আট মাস দোকান বন্ধ । তার উপর ব্যবসা শুরু হলেও ঠিক মতো গুছিয়ে উঠতে পারি নি । কিন্তু এখন নির্বাচন এগিয়ে আসতেই এই ধরনের গেঞ্জি এবং হাফ প্যান্ট বিক্রি চাহিদা আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করেছে।
বলাবাহুল্য , নির্বাচনের প্রাক্কালে মূলত বিভিন্ন দলের দলীয় পতাকা , ব্যানার-ফেস্টুন , ফ্লেক্স এগুলোতে উৎসাহী থাকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের। অনেক ক্ষেত্রে আবার টুপি বিভিন্ন দলের দলীয় পতাকার আদলে তৈরি করে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এবারে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে খেলা হবে লেখা গেঞ্জি। যা কিনতে টিনএজারদের একাংশই বেশি ভিড় করছে পোশাকের দোকানে। তৃণমূল সমর্থক বলে শুধু নয় , খেলা হবে এই শ্লোগান এমন একটি যে, তা যে কোন জায়গায়, গল্প, আড্ডা প্রতিযোগিতায় এই গেঞ্জির চাহিদা এখন অতুলনীয় । তাই অল্প বয়সীদের মধ্যে বিশেষ করে এই ধরনের গেঞ্জি কেনার চাহিদা বেড়েছে।
মালদা শহরের বৃন্দাবনী মাঠ সংলগ্ন এলাকার হকার্স মার্কেটের এক ব্যবসায়ী রাজু দাস বলেন, দেড়শ থেকে দুইশ টাকার মধ্যে খেলা হবে লেখা গেঞ্জি বিক্রি করা হচ্ছে । আরেকটু উন্নত মানের নিতে গেলে তিনশ সাড়ে তিনশো ও চারশো টাকার মধ্যে এই গেঞ্জি বিক্রি হচ্ছে। কে কোন দলের সমর্থক, আর কে বা কর্মী, সেটা আমাদের জানা নেই। কিন্তু অল্প বয়সীদের মধ্যে এই গেঞ্জি কেনার প্রবণতা একটু বেড়েছে। দোকানে আসলেই প্রথমেই খেলা হবে গেঞ্জি কিনতে চাইছে। কেউ দরাদরি করছেন, আবার কেউ পোশাকের রং পছন্দ হলে সেটি দরাদরি না করেই কিনে ফেলছেন। নির্বাচনের মুহূর্তে খেলা হবে গেঞ্জির একটা ভালো প্রভাব ফেলেছে। এরকম ভাবে যদি নিত্যনতুন পোশাক বের হয়, তাহলে ব্যবসায়ীদের লকডাউন পরিস্থিতি থেকে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।
মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু বলেন , করোনা অআবহের মধ্যে গত বছর থেকে লকডাউনের জেরে ব্যবসায়ীরা প্রায় সর্বস্বান্ত। পুজোর মরশুম গেছে । তবুও অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়াতে পারেন নি। তাই এখন এই ধরনের নিত্য নতুন পোশাকে আকর্ষণ ক্রেতাদের মধ্যে বেড়েছে। এরকমভাবে যদি ধীরে ধীরে ব্যবসায়ীরা বেচাকেনার মাধ্যমে নতুন করে লাভের মুখ দেখতে পারেন সেই আশা করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *