শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের মর্গে থাকা মৃতদেহ ইঁদুর খুবলে খাওয়ার অভিযোগ। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। ইতিমধ্যে ঘটনাকে ঘিরে হাসপাতালের বিরুদ্ধে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ দায়ের করবেন মৃতের পরিবার। অন্যদিকে এই ঘটনায় হাসপাতাল সুপারের দাবি মর্গের ফ্রিজটি খারাপ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। তবে ফ্রিজটি দ্রুত মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার জেলার অন্তর্গত বীরপাড়া এলাকার বাসিন্দা পাপাই মল্লিক পেশাগত কারণে শিলিগুড়ি প্রধাননগর এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। জানা গেছে পাপাই একটি বেসরকারি কোম্পানির অন্তর্গত এসি মেশিন রিপেয়ারিংয়ের কাজ করতেন। জানা গেছে গতকাল সকালে তার ঘরের থেকে বাড়ির মালিক এবং প্রতিবেশিরা তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। এরপরই মৃতের পরিবারেরা ওই মৃতদেহ শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল নিয়ে আসার পর তাকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে এবং মৃতদেহ শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়। কিন্তু আজ সকালে মৃতের পরিবারের লোকেরা মৃতদেহ নিতে এলে দেখতে পায় মৃত পাপাই মল্লিকের নাক নেই এবং দেহের একাধিক জায়গায় ক্ষত চিহ্ন রয়েছে সেখান থেকে রক্ত পরছে। একইসাথে মৃতদেহ পচন ধরা শুরু করেছে। এই দেখে মৃত পরিবারের লোকেরা ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু করে। ঘটনা নিয়ে তারা শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে সুপার প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যকে জানালে মৃতের পরিবারের অভিযোগ তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। জানা গেছে গত কয়েকদিন থেকেই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে মর্গের ফ্রিজটি খারাপ হয়ে রয়েছে যার ফলে শুধু ওই মৃতদেহটি নয় অন্যান্য মৃতদেহগুলি পচন ধরতে শুরু করেছে। অন্যদিকে হাসপাতাল সুপার প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক বলে স্বকারক্তি দেন। একইসাথে তিনি বলেন 30 টি খারাপ হয়ে যাওয়ার পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে তবে এখনো ফ্রিজ মেরামত না হওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন এই মৃতদেহটির ক্ষত নিয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশকে ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।