ব্লক করা হল BJP সাংসদের অ্যাকাউন্ট। আমেরিকার ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট আইনের জেরে এই ব্লক বলেও অনুমান তাঁর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ কে ট্যাগ করে টুইটারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন কেন্দ্রকে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু হয়ে যায়।
ডিজিটাল সুরক্ষা আইন নিয়ে ভারত সরকার এবং টুইটারের তরজা অব্যাহত। সরকারের দাবি, ভারতে ব্যবসা করতে গেলে, ভারতীয়দের তথ্য নিয়ে কাজ করতে গেলে দেশের আইন মেনে চলতে হবে টুইটারকে। রাখতে হবে একজন নোডাল অফিসার। দেশেই রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার ডেটাবেস। আর এতেই বেঁকে বসে টুইটার। টুইটারের অভিযোগ ভারত সরকারের আইনে স্পষ্ট বলা নেই কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক। টুইটার ভারত সরকারের আইন না মানায় টুইটারের উপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছে সরকার। এখন থেকে টুইটারের মাধ্যমে কোনও জায়গায় সমস্যার উদ্রেক হলে টুইট করা ব্যক্তির সঙ্গে দায়ী থাকবে টুইটারও।
সম্প্রতি, খোদ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীরই অ্যাকাউন্ট ব্লক করে টুইটার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংস্থার বিরুদ্ধে। শুক্রবার একঘণ্টারও বেশি সময় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। যদিও পরে তাঁর অ্যাকাউন্ট আনব্লক করে দেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক পরে অ্যাকাউন্ট আনব্লক হতেই টুইটে ঝড় তোলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। একের পর এক টুইটে পুরো ঘটনা জানিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী।