বন্যা পরিস্থিতি আটকাতে তৎপর রাজ্য সরকার

বিগত তিনদিন ধরে রাজ্য জুড়ে তান্ডব চালিয়েছে বৃষ্টি। অতিভারী বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন হয়েছে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল। নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ করার জন্য ন’টি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে আপৎকালীন বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং ও কালিম্পং, এই ন’টি জেলার জেলাশাসক এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। টানা বৃষ্টির কারণে রাজ্যের একাধিক জেলা সহ শহর কলকাতা জলমগ্ন। কোথাও কোথাও বাস ডুবে গিয়েছে, আবার কোথাও কোমর জল। অনেকের বাড়ি ভেঙ্গে ভেসে গিয়েছে জলে। জলযন্ত্রণায় ভুগছে শহর কলকাতা৷ সবমিলিয়ে দুর্দশার চিত্র রাজ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতেই বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। লাগাতার বৃষ্টি ও বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার জেরে একাধিক জেলায় বন্যার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷ এদিকে বন্যা পরিস্থিতি আটকাতে তৎপর রাজ্য সরকার৷

নবান্ন সূত্রে খবর, মুকুটমণিপুর, তিলপাড়া এবং ম্যাসাঞ্জোর জলাধার থেকে সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হবে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলির বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ডিভিসি গতকাল ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। সেই জলে হুগলির গোঘাট, খানাকুল, পুরশুড়া, আরামবাগ প্লাবিত হতে পারে। এমতাবস্থায় বন্যা মোকাবিলায় সব রকমের প্রস্তুতি সেরে রাখার জন্য জেলা শাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *