পরকীয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় সদ্য বিবাহিত এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠলো স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চাচোল থানা শেরবাবর গ্রামে। এই ঘটনার পর তদন্তে আসে চাচল থানার পুলিশ। মৃত ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা। মৃতের পরিবার অভিযুক্ত স্বামী রেজ্জাক আলী সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে চাচোল থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম মোশরেফা খাতুন(১৯)। তার বাবার বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, জামাইয়ের পরকিয়ার প্রতিবাদ করায় মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরেই নির্যাতন ও মারধর করতো অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এনিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশি করে সমস্যার সমাধান হয় নি।
মৃত ওই গৃহবধূর পরিবার পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছেন, তিন মাস আগে গ্রামেরই পূর্বপাড়ার রেজ্জাক আলির সঙ্গে মোশরেফার বিয়ে হয়। দিনমজুরী করে রেজ্জাক। গ্রামের মহিলার সঙ্গে স্বামী রেজ্জাক পরকিয়ায় জড়ায় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে অশান্তি চলছিল। পরকীয়ার প্রতিবাদ করাতেই মোশরেফাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করতেন বলেও অভিযোগ মৃত গৃহবধূর পরিবারের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে স্থানীয়রা তাদের বাড়িতে দেখতে পান শশুর বাড়ির শোবার ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে ওই বধূর দেহ।তারপরেই শুরু হয় চেচামেচি। তবে তার আগেই মৃতা বধূর শ্বশুরবাড়ির সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
মৃতের এক দাদা সামিজুউদ্দিন শেখের অভিযোগ, পরিকিয়ার প্রতিবাদ করায় বোন শ্বাসরোধ করে খুন করেছে জামাই শশুর বাড়ির লোকেরা। এ ব্যাপারে চাচোল থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
চাচোল থানা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বলা যাবে । তবে অভিযুক্তদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।